এই পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যতবারই যুক্তরাজ্য সফরে গিয়েছেন ততোবারই প্রতিবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের বিএনপি। তবে এবার কেন তারা নীরব সংবাদকর্মী এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালেক এর কাছে। এরপর তিনি ওই সংবাদকর্মীকে প্রতিবাদ না করার কারণ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা যেহেতু যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি, তেমনি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে আমরাও শোকাহত। যুক্তরাজ্য সরকার রানীর মৃত্যুতে ১২ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। রানীও কমনওয়েলথের প্রধান। আমরা দল হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি শোকের রাজ্যে কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচিতে না যাওয়ার। এবার শেখ হাসিনার কাছে নীরব প্রতিবাদ করলাম।
গত ১৪ বছরে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে কোনো প্রতিবাদ করেনি যুক্তরাজ্য বিএনপি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যতবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাজ্যে এসেছেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি তার বাসভবন, বিমানবন্দর ও অনুষ্ঠানস্থলের সামনে বিভিন্ন বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। . কিন্তু এবার ব্যতিক্রম।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয়নি যুক্তরাজ্য বিএনপি।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্বের অধিকাংশ লোকই। অনেকেই তার শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছিলেন। এক সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানা যায়, তিনি ব্যক্তিগতভাবেই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। যার জন্য এই প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কোনো প্রকার প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে নি যুক্তরাজ্য বিএনপি।