গোটা বিশ্ব জুড়ে সৌন্দর্যপূর্ন অসংখ্য জায়গা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক নাগরিকই এই সকল সৌন্দর্য উপভোগ করতে একে দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও রয়েছে এমন অনেক ভ্রমনপিপাসু ব্যক্তিরা। এদেরই মধ্যে অন্যতম একজন নাজমুন নাহার। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ১৫০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন।
ইতিহাস গড়ছেন নাজমুন নাহার। সমকালীন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ তরুণ নাজমুন নাহার সর্বাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি পতাকাবাহী। গতকাল বিশ্বের ১৫০তম দেশ সাওতমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ ভ্রমণের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক মাইলফলক সৃষ্টি করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ১৫০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করলেন বিশ্বশান্তির বার্তা নিয়ে। নাজমুন নাহার বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে এভাবেই গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীর কাছে! ২১ বছর ধরে নাজমুন নাহার পৃথিবীর এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিভিন্ন জনপদের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা তুলে ধরছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিও বিশ্বের দরবারে তাঁর পৃথিবী অভিযাত্রার মধ্যে তুলে ধরছেন।
তাঁর বিশ্ব অভিযাত্রার মধ্যে তিনি বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন, বহুবার মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন তবু থামেনি তাঁর পদযাত্রা। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বিশ্ব অভিযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে। বিশ্বগণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত মানুষ তাঁকে সংবর্ধিত করেছেন, বহু অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা তিনি পেয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র ও বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। এ অভিযাত্রায় তিনি ভ্রমণ করেছেন আফ্রিকা মহাদেশের বুরুন্ডি, ডি আর কঙ্গো, সাউথ সুদান, নামিবিয়া ও অ্যাঙ্গোলা এবং ১৫০তম দেশ হিসেবে ‘সাওতমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ’।
নাজমুন নাহারের এই রেকর্ড দেশের জন্যও গৌরবের এবং সম্মাননের। তিনি শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ১৫০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে নাজমুন নাহারের এই যাত্রা। তিনি তার এই রেকর্ড অর্জনের মধ্যে দিয়ে নানা সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন।