নাম নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেও প্রথমে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে পরবর্তীতে তদন্ত চালিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আবারও গ্রেপ্তার করা হয় বাবু তালুকদার ওরফে রাসেলকে (৩৫)। সংবাদ মাধ্যমকে তার গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারের সময় বিয়ের আসরে ছিলেন রাসেল।
গ্রেপ্তার বাবু তালুকদার ওরফে রাসেল (৩৫) জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার আমরবুনিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক তালুকদারের ছেলে।
মঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে সিলেটে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বহেরাতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে স্বজনরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় রাসেলের নামে ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
“ওই ব্যক্তিকে রাসেল নামে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান প্রত্যয়নপত্র দেন, ওই ব্যক্তি বাবু। নামে মিল না থাকায় তখন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন তালুকদার প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ ব্যক্তির দুটি নাম, তা তার জানা ছিল না।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশ বাবু তালুকদারের নাম রাসেল বলে নিশ্চিত করে। এরপর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে তাকে আবারও আটক করে পুলিশ।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, চেয়ারম্যানের সনদের কারনে নাম বিকৃত হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। যাইহোক, অভিযুক্ত পুলিশের নজরদারিতে ছিল এবং পরে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। ”
এদিকে গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ মাধ্যমকে এ তঠ্য নিশ্চিত করেন ওসি মুহা নুরুল ইসলাম। তবে বিয়ের আসর থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক শোরগোল