সম্প্রতি ভারতে নির্দেশিত নির্বাসিত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার চিকিৎসা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাকে চিকিৎসার নামে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তসলিমা নাসরিনের এই ধরনের পোস্ট দেয়ার পর আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে তসলিমা নাসরিন বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু তুলে ধরেননি। এবার তিনি জানালেন ভিন্ন বিষয়।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি কার কী ক্ষতি করেছি? রোববার তার ভেরিফায়েড ফেস”বুক স্ট্যাটাসে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন লেখিকা।
তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, মৃ”ত্যুই জীবনের শেষ। কিন্তু শনিবার দুপুরবেলায় মৃত্যু আমার জীবনের সমাপ্তি আনেনি। শনিবার দুপুর বেলায় হঠাৎ আঁধার থেকে কয়েকজন লোক এসে প্রথমে আমার চোখ, তারপর হাত, তারপর পা দুটো বেঁধে দেয়। তারপর আমাকে আরো অন্ধকারের গভীরে নিয়ে গিয়ে আমার মাথার খুলি খুলে আমার মস্তিষ্ক বের করে নিল, বুক খুলে হৃদপিণ্ড।
আমি এখনও অন্ধকারে পড়ে আছি, কিন্তু আমি এখন শ্বাস নিচ্ছি। কারণ দুটি ফুসফুসই বেঁচে আছে। আমি এখনও আমার হাত শূন্যে মেলে দিতে পারছি, আমি এখনও চিৎকার করতে পারছি, আমি লতে পারছি—কার কী ক্ষতি করেছিলাম?
তসলিমা নাসরিন মাঝে মাঝে তিনি তার পোস্টে কিছুটা সাহিত্যের ছোঁয়া রাখছেন। যার কারণে তার ভক্ত অনুরাগীরা বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কিছু বুঝতে পারছেন না। তবে তসলিমা নাসরিনের সাথে অস্বাভাবিক কিছু একটা ঘটেছে, সেটা অনেকটাই স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে।