দিন দিন প্রযুক্তির ছোয়ায় বলিয়ান হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। প্রতিনিয়তই একের পর এক সব নতুন নতুন সংযোজনের মধ্যে দিয়ে পুলিশ হচ্ছে উন্নত থেকে আরো উন্নত। আর এরই ধারাবাহিকতায় এবার পুলিশে ঘটেছে নতুন সংযোজোন।প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে পুলিশের শরীরে বসানো হলো ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’। প্রথম ধাপে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪ থানায় শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। শরীরে ক্যামেরা লাগানো থাকায় পুলিশ কর্মকর্তাদের গতিবিধি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে, পাশাপাশি অপরাধী শনাক্তকরণও সহজ হবে বলে জানিয়েছে সিএমপি।
পুলিশ সদস্যদের শরীরে লাগানো এসব ক্যামেরা দিয়ে অডিও, ভিডিও ও ছবি ক্যাপচার করা যায়। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ডবলমুরিং থানায় শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। পাইলট প্রকল্পের আওতায় সিএমপির ডবলমুরিং, কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ ও পতেঙ্গা এই চার থানায় ৭টি করে ক্যামেরা দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১৬ থানাকে এর আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ।
আবদুল ওয়ারিশ বলেন, পুলিশ সদস্যরা অনেক সময় সাধারণ মানুষের সাথে অন্যায় আচরণ করে সেগুলোর রেকর্ড থাকবে। আবার যাদের সঙ্গে পুলিশ ডিল করবে তারা যদি কোনো অন্যায় বা অপরাধ করে তাদেরও রেকর্ড থাকবে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, এসব ক্যামেরা ভ্রাম্যমাণ সিসিটিভির মতো সবকিছু রেকর্ড করে রাখবে। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো স্থানে বসেই এটি তদারকি করা যাবে।
উপ পুলিশ কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ আরও বলেন, পুলিশ সদস্যরা যাতে মানুষের সাথে কোনো অন্যায় না করতে পারে সেটি নিশ্চিতে এই বডি ওর্ন ক্যামেরা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে আমরা সবকিছুর রেকর্ড রাখতে পারবো। এতে করে কারো অন্যায় প্রমাণ করা সহজ হবে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন বলেন, দায়িত্ব পালন করাকালীন ঘটনাস্থল থেকে অনেক সময় অপরাধী আমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু এই ক্যামেরা থাকলে তার রেকর্ড থাকবে, এতে পরবর্তীতে তাকে ধরা সহজ হবে।
তবে এর আগে এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়েছে ঢাকার পুলিশের উপরে।ট্রাফিক পুলিশের উপরে পরীক্ষাকৃত ভাবে ব্যবহার হলেও এই প্রথম বার পুলিশের কাজে ব্যবহারের জন্য এটাকে প্রক্রিয়াধীন রাখা হয়েছে।