বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী জনপ্রিয় ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন করবেন।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, ‘কোন চাপে নির্বাচনী মাঠে আছি এমন নয়। কারণ হিরো আলমের কোনো উপদেষ্টা নেই, হিরো আলম কারো কথা শুনে নির্বাচন করেননি, হিরো আলম আগেও একাই নির্বাচনের মাঠে ছিলেন, এখনো একাই আছেন। আমি কারো পরামর্শে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিইনি। আমি মনে করি, এই নির্বাচনে কোনো লাভ হবে না।
সরকার যে ৩০০ আসনে নির্বাচন করছে তার মধ্যে দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে। তখন আমরা যারা নির্বাচন করছি তাদের কোনো আসন নেই। সব বিষয় বিবেচনা করে, আমি নির্বাচিত হব না। এটা একটা পাতানো নির্বাচন।
এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
হিরো আলম আরও বলেন, ‘তবে এবারের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালে কথা উঠেছে লাখ লাখ টাকা নিয়ে মাঠ থেকে সরে যাচ্ছেন হিরো আলম। আমার এলাকার মানুষ জানতে চায় কেন আমি টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি। এসব কথার কারণেই আমি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে আছি। আমি নির্বাচন করব।
কিন্তু আমি জিতব না কিন্তু আমি এটাও জানি। কারণ গতবারও আমি জিতেছি। জয়ের পর তারা আমাকে আসনটি বুঝিয়ে দেয়নি। এবারও দেবে না। কারণ তারা হিরো আলমকে মেনে নিতে পারে না। সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে, তারা সারা জীবন শাসন করবে।’
এর আগে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। প্রত্যাহারের কারণ ব্যাখ্যা করতে তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। গত ৩ ডিসেম্বর বগুড়ার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম চারটি ভুলের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে গত ৬ ডিসেম্বর তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত পান।
হিরো আলম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (উপনির্বাচনসহ) মোট চারবার প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে চারবার তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে তিনি দুইবার নির্বাচন কমিশনে এবং দুইবার হাইকোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত পান। চলতি বছরের শুরুতে বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শরিক জাসদের প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।