বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নানা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সেই সাথে দেখা গিয়েছে রাত ৮ টার পর দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই সাথে আরো বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কিন্ত সেই নির্দেশনয় ভোগান্তিতে পড়েছে সাতক্ষীরার মানুষ
জানা গেছে প্রতি দুই ঘণ্টায় এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। তফসিলে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে না কর্তৃপক্ষ। এতে জেলায় ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগীরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
এদিকে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান জানান, এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও স্বল্পতার কারণে তা পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির অধীনে ৫ লাখ ৯৩ হাজার গ্রাহক রয়েছে। তবে এই গ্রাহকের বিপরীতে ১২২ মেগাওয়াটের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিনের চাহিদার তুলনায় ১৭-১৮% বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। সে জন্য তফসিলে উল্লেখিত সময়সীমা অঘোষিতভাবে পরিবর্তন করতে হবে। তাছাড়া এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সময় ও ধরন উভয়ই পরিবর্তন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সেভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে। এর কোনো বিকল্প নেই। তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের বোরহান উদ্দিন জানান, ঘাটতি দূর না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের বোরহান উদ্দিন জানান, দিনে ৫ থেকে ৬ বার এবং রাতে প্রতি দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের ফলে ভোগান্তির শেষ নেই। একদিকে অসহ্য গরম অন্যদিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের। তিনি আরও বলেন, গত দুই দিনে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ বার লোডশেডিং হয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। একটি ঘোষণা আসলে ভিন্ন হচ্ছে. এ বিষয়ে অভিযোগ করার পরও যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কলারোয়া উপজেলা সদরের ওমর ফারুক জানান, দিনরাত সমান লোডশেডিং চলছে। গরমে দিনে একটু বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই। রাতে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ চলে যায়। গত দুই দিন ধরে নাওয়া-খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
তবে জেলার সাতটি উপজেলার তুলনায় সাতক্ষীরা জেলা শহরে বিদ্যুতের ঘাটতি একটু কম। এখানে ৫২ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। তবে তিন মেগাওয়াটের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরীর ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক।
সাতক্ষিরায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়টি নিয়ে এখন বেশ সমালোচনা এবং সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে এ প্রসঙ্গে প্রকৌশলী জিয়াউল হক আরও বলেন, চাহিদার তুলনায় তিন মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। ফলে শহরে লোডশেডিং কম হচ্ছে। অন্যান্য এলাকায় এক ঘণ্টার পরিবর্তে ৪০ মিনিট লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।