সংসারে বিভিন্ন করনে কলহের সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় কলহের জেরে অনেক দাম্পত জীবন নষ্ট হয়ে যায়। সম্প্রতি একটি ঘটনায় জানা যায়, ননদ ও শাশুড়ী মিলে জোর করে স্বামীর কাছ থেকে তালাক নামায় সই নেয়ায় নিজের শশুরকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করলেন পুত্রবধূ!
ঘটনার্টি ঘটেছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ২নং ভবানীপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর (উঃ) গ্রামে। শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের খাদিজা আক্তার পুতুল নামের এক মানবাধিকার কর্মী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হিউম্যান রাইটস রিভিউ সােসাইটি মানবাধিকার এর ওই কর্মী বলেন, উপজেলার ভবানীপুর ইউপি’র লক্ষীপুর (উঃ) গ্রামের মৈশান বাড়ির মহসিন মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী আল আমিনের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার মেয়ে ফারজানার ভালােবেসে বিয়ে হয় বছর দুয়েক আগে। ফারজানা কুমিল্লা ইপিজেডে একটি সুতার ফ্যাক্টরিতে কাজ করতাে।
তার স্বামী আল আমিন কুমিল্লা শহরে সিএনজি চালাতাে। বিয়ের পর ফারজানার জমানাে টাকা দিয়ে আল আমিন সৌদি আরবে যায়। ভালােবেসে বিয়ে মেনে নিতে না পেরে বিয়ের পর থেকে ফারজানার ননদ ফাতেমা ও শাশুড়ী মাের্শেদা বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন করতাে ফারজানাকে। ফারজানার বাবা-মা কেউ জীবিত না থাকায় তার উপর বেশি-ই নির্যাতন করা হতাে।
বিয়ের দেড় বছর পর শশুড়ের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক আছে এমন অভিযােগে জোর করে তালাক নামায় সই করিয়ে নেওয়া হয় ফারজানার কাছ থেকে। তালাকের ৩ লাখ টাকা তাকে দিয়ে সে টাকা আবার ননদ শাশুড়ি কেড়ে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এসবের প্রতিশােধ নিতে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঢাকায় একটি কাজী অফিসে শশুর মহসিন মিয়াকে ১০ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করেন নেয় ফারজানা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহআলম জানান, দুদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে মহসিন। তার ফোনে কল দিলে এক নারী রিসিভ করে বলে আমি তাকে বিয়ে করেছি। সে আমার স্বামী। তবে আমি যতটুকু জেনেছি পুত্রবধূকে শশুড়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক আছে এমন অভিযােগ দিয়ে জোর করে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তাই পুত্রবধূ ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজ করেছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, বিষটি আমি শুনেছি তবে কোনাে অভিযােগ পাইনি।
এই ঘটনা একেবারেরই অপ্রত্যশিত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নিজের ছেলে যার সাথে দীর্ঘ দিন সংসার করেছে ওই একই নারীর সাথে কিভাবে তার পিতা রাত কাটাবে ভেবেই ছি, ছি, করছেন তারা।