দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, আর এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের মনোনীত প্রার্থীরা অধিকাংশ ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন। বিএনপির নেতারা অনেক ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ নিলেও দলীয় প্রতীক নিয়ে তারা অংশ নিচ্ছেন না। কিছু কিছু ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়টি নিয়ে হতবাক হয়েছেন খোদ আওয়ামীলীগের নেতারা। যখন কোনো আ.লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকায় নৌকার ভরাডুবি ঘটে তখন সেই বিষয়টি নজরে আসার বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। এবার সরকারের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর এলাকায় ঘটলো নৌকার ভরাডুবি।
পঞ্চম দফা নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলার চা বাগান অধ্যুষিত চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত ভোটে নৌকার চরম ভরাডুবির ঘটনা ঘটেছে। ২১টির মাঝে মাত্র ৬টিতে বিজয়ী হয়েছে নৌকা। এর মাঝে চুনারুঘাট উপজেলার ১০টির মাঝে ৪টিতে এবং মাধবপুর উপজেলার ১১টির মাঝে মাত্র ২টিতে নৌকা বিজয়ী হয়েছে।
অথচ মাধবপুর উপজেলায় বাড়ি বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর বাড়ি এবং তিনি ওই দুই উপজেলার এমপি। ওই দুই উপজেলায় চা শ্রমিকদের ভোট আছে প্রায় ৯০ হাজার এবং এই ভোট নিয়েই ছিল নৌকার ভোট ব্যাংক। এবার চা বাগান কেন্দ্র গুলোতে নৌকার ভোট কমেছে এবং কোনো কোনো বাগানে চরম ভরাডুবির ঘটনা ঘটেছে। আবার চা শ্রমিক ভোটারের উপস্থিতিও ছিল কম।
চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা বাগানে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী পান ১ হাজার ১ শ’র বেশি ভোট । নৌকা সেখানে ২০০ ভোটও পায়নি। অন্যান্য বাগানের চিত্রও ছিল এমনি।
চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলন, এবার চা শ্রমিক ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম এবং নৌকাতে পূর্বের ন্যায় ভোট দেয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যাবহার না করাই উচিত ছিল।
মন্ত্রীর এলাকায় নৌকার ভরাডুবি ঘটার পর বিষয়টি কারন হিসেবে স্থানীয় আ.লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নৌকার পরাজিত হওয়ার বিষয়ে প্রকৃত যে কারণ সেটি হলো আওয়ামীলীগের প্রার্থীতা না পাওয়ায় দলের বিপরীতে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারনে ভোটারদের ভোট ভাগ হয়ে যায় যার কারনে অন্য দলের প্রার্থীরা বেশি ভোট পেয়ে যায়। তাছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনে তেমন সক্রিয়ভাবে কাজে নামে নি। অনেক স্থানে যোগ্য ব্যক্তি যারা রয়েছেন তারা দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়া আরি একটি কারন।