বরিশালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হওয়ার পরে বাবা এবং মেয়েকে কা’রাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন আদালত। আজ (বৃহস্পতিবার) অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর দুপুরের দিকে শাহজালাল মল্লিক যিনি কোতোয়ালি মডেল থা’/নার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল (বুধবার) অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর আদালত কর্তৃক ধার্য করা নির্ধারিত দিনে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা হাজির হন। ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এই রায় দেন।
আসামিরা হলেন- নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড পুরাতন পাসপোর্ট অফিস লেনের এম এ জলিল সড়কের বাসিন্দা এ বি এম সালাউদ্দিন আহম্মেদ ও তার মেয়ে সৈয়দা সাবিকুন নাহার তুবা।
জানা গেছে, নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড পুরাতন পাসপোর্ট অফিস লেনের এম এ জলিল সড়কের বাসিন্দা খোর্শেদুল আলম সুজন দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার সুবাদে তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত প্রতিবেশী এ বি এম সালাউদ্দিন আহম্মেদের পরিবার।
এ নিয়ে ২০২০ সালের ৪ জুন উভয় পরিবারের মধ্যে বাগবিত’ণ্ডা হলে সালাউদ্দিন আহম্মেদ ও তার মেয়ে সৈয়দা সাবিকুন নাহার তুবা তাদের ফে’সবুক আইডি থেকে সুজন ও তার স্ত্রী হাসির ছবি ব্যবহার করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করেন। পোস্ট সরিয়ে ফেলতে অনুরোধ করলেও উল্টো গালিগা’লাজ করেন বলে জানান সুজন। পরে ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি সুজনের স্ত্রী ফজিলাতুন নেসা হাসি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সালাউদ্দিন আহম্মেদ ও তার মেয়ে সাবিকুন নাহারের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থা’/নায় মামলা করেন।
কোতয়ালী মডেল থা’/নার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে দায়িত্বে থাকা মো. শাহজালাল মল্লিক এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি জানিয়েছেন, বাবা ও মেয়েকে আ’সা/মি করার মাধ্যমে তিনি অভিযোগপত্র জমা দেন। গতকাল (বুধবার) অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর বাবা ও মেয়ে আদালতে হাজির হন এবং জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন কিন্তু তাদের জামিন নামন্জুর করেন এবং কা’রাগারে পাঠানোর নিরদেশ দেন।