খালিদ মাহমুদ চৌধুরী হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌ প্রতিমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুর-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এখন রাজনীতিবীদ। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিএনপি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে চিন্তা করে দেশ শ্রীলঙ্কা হলো কী না।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট- বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করতে কোনো সমস্যা নেই মন্তব্য করে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গঠনমূলকভাবে সরকারের বিরোধিতা করলে সাধুবাদ জানাবো। তবে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করা হবে। আপনি যখন বলবেন, দেশকে শ্রীলঙ্কা বানাতে হবে, ব্যর্থ করতে হবে, ধ্বংস করতে হবে, তখন এই অপরাধীদের প্রতিহত করা হবে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামেটরে বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিসি শ্রমিক ইউনিয়নের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ভাবছে দেশ শ্রীলংকা নাকি? বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না, খাদ্য সংকটে পড়বে না। কারণ এটি আমাদের সম্পর্কে নয়, এটি মানুষের সম্পর্কে। তারা মনে করেন, যতদিন দেশ শেখ হাসিনার হাতে থাকবে ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না। এটা মানুষের কথা ও বিশ্বাস।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সামুদ্রিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে সমুদ্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসতে চান। তাদের এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশ দুর্বল হলে আমেরিকার মতো ব্যবসায়ীরা আসতে চায় কেন? তাদের সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকতে পারে। কিন্তু যারা ব্যবসা করেন তাদের কোনো এজেন্ডা নেই। কেন তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে? কারণ দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। তাই বাংলাদেশ নিয়ে সবার আগ্রহ।
নৌবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণ মনে করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের শাসনের প্রথম বাধা ছিল অপরাধীদের বিচার। আমরা তা করেছি। বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ছিল না। আজ তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যেমন এগিয়েছে, তেমনি চা বাগানের শ্রমিকরাও তাদের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছে। তারা এখন তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। কেননা তাদের মধ্যে পূর্বে কোন শিক্ষা ছিল না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শ্রমিকদের বিশাল অংশীদার উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার মূল সমর্থক। আদমজী ও তেজগাঁওয়ের ছাত্র-শ্রমিকরা ছয় দফাকে এক দফায় পরিণত করে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিসি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মহসিন ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনক্ষত্রী সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব আল মান্নান, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান আহমেদ শামীম আল রাজী, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম আজম খসরু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা সভা ও সমাবেশের মাধ্যমে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সভা ও সমাবেশে তারা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখছেন এবং কর্মীদের সম্মিলিত হয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন।