অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক প্রতিদিন নিদ্রিষ্ট কিছু সময়ের জন্য লোডশেডিং থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। কোন এলাকায় কোন সময়ে কতটুকু সময়ের জন্য লোডশেডিংয়ের আওতায় থাকবে সেটার উপরে একটি সিডিউল তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) আওতাভুক্ত এলাকায় দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানীর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি। ডিপিডিসি ঢাকা ও এর আশেপাশের ৩৬টি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ঢাকার অভ্যন্তরে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করা হচ্ছে সেগুলো হলো- আদাবর, আজিমপুর, বাঁশরী, বাংলাবাজার, বংশাল, বাসাবো, ডেমরা, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, জুরাইন, কাকরাইল, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, লালবাগ, মানিকনগর, মাতুয়াইল, মগবাজার, মতিঝিল, মুগদাপাড়া, নারায়ণগঞ্জ, পরীবাগ, পোস্তগোলা, রাজারবাগ, রমনা, সাতমসজিদ, শ্যামলী, শেরবাংলা নগর, শ্যামপুর, স্বামীবাগ ও তেজগাঁও এলাকা। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ডিপিডিসি বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে সেগুলো হলো ফতুল্লা, কাজলা, পূর্ব ও পশ্চিম নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও শীতলক্ষ্যা। কখন কোন এলাকায় লোডশেডিং হবে তা অনলাইনে জানিয়ে দিয়েছে ডিপিডিসি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন এলাকায় সিডিউল অনুযায়ী লোডশেডিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে সরকার। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী কখন কোথায় লোডশেডিং হবে তার সময়সূচি ঠিক করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো, যা কার্যকর হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জ্বালানি বিষয়ক বৈঠকে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা দেশের জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, কোথাও কোথাও টানা দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করা হবে না, দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধা ঘণ্টা দুই ঘণ্টায় করা যাবে।