Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা গুলো দিন যত যাচ্ছে ততই যেন বাড়ছে। প্রায় সময় শোনা যায় শিক্ষার্থীদের সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার মতো খবর। কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছে না শিক্ষার্থী পরিবহনের এই বিভেদ, কমানো যাচ্ছে না দুর্ঘটনা। তাই তো এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ট্রাফিক ব্যবস্থার কথা সাথে আরও জানালেন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ট্রাফিক আইন সম্পর্কে পাঠদানের কথা।

দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক রাখারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এগুলো হলো ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস, সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪ মহাসড়ক, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগসড়ক এবং রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর চেংগী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সারাদেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০১০ থেকে ২০১২ সালে ২০৯টি ব্ল্যাকস্পট (দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান) চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে আরও ২৫২টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ১৭২টির প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৮০টি ব্ল্যাকস্পটেও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।

এসময় পথচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে- দুর্ঘটনা হলেই গাড়ির ড্রাইভারকে পেটানো হয়। অনেক সময় গণপিটুনিতে তাকে মেরেই ফেলে। কেন দুর্ঘটনা ঘটলো, কার দোষে ঘটলো- সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আর সবার ট্রাফিক রুল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার এবং সেটা মেনে চলা দরকার। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে সড়ক পার, রেললাইনে চলা বন্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পার হবেন না। রাস্তা পারাপারেই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস করা আছে। সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বলবো, রাস্তায় চলাচলে ট্রাফিক রুল মানতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক রুলটা শেখাতে হবে।

তিনি বলেন, স্কুলে যাতায়াতে নিরাপদে রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তা করবে, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষেরও লোক রাখতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা অন্যদের মানতে চায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক থাকলে ঠিকই মানবে। প্রত্যেকটা স্কুলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেবে, যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে উদ্যোগ নেয়।

প্রায়ই সময় শোনা যায় গাড়িচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর, সাথে সাথে আন্দোলনও করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও যেন দুর্ঘটনা থামানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাইতো অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিনব উদ্যোগ। বিশ্লেষকদের মতে এটা হতে পারে একটা সমাধান। পুরোপুরি না হলেও এবার হয়তো কমবে শিক্ষার্থীদের সড়ক দুর্ঘটনার হার। তবে এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশের যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সব জায়গাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ট্রাফিক ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পারেন কিনা।

About Ibrahim Hassan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *