‘নৌকা প্রতীকের উপর জনসমক্ষে সিল মেরে মারতে হবে। যারা নৌকায় ভোট দিবেন না বলে ভেবেছেন, তাদের কেন্দ্রে পৌঁছাবার প্রয়োজন নেই। ভোটের পূর্বেই প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০০টি ব্যালটে আগে থেকেই সিল মে’রে রাখা হবে।’
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থী এবং সেই সাথে তার সমর্থকরা এই সব কথা বলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ (বুধবার) অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর দুপুরের দিকে মো. আল-আমিন সরকার যিনি ঐ ইউনিয়নের নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনি এই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন।
চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আল-আমিন সরকার বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আমার কর্মীদের ওপর স’ন্ত্রা’/সী হা’/ম’লা, ভা’ঙ’/চুর ও মা’/রধ’র চালাচ্ছেন। প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। সকালে ভোট চাইতে গেলে আমার চার নারী কর্মীকে বে’দম মা’/রধ’র করেছে নৌকা প্রার্থীর স’/ন্ত্রা’/সী বা’হি’/নী। তাদের তা’/ণ্ডবে আমি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েই শ’/ঙ্কি’ত হয়ে পড়েছি। অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় আমার বেশ কিছু কর্মীকে অবরু’দ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও আমার নির্বাচনী অফিসে নৌকার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম তপন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। আমার তিন কর্মীকে কু’/পিয়ে জ’/খ’ম করা হয়। এসব কারণে এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শ’/ঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
এই সময় তিনি প্রশাসনের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।
তবে রেজাউল ইসলাম তপন যিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তিনি এই ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধাচারন করে বলেন, আমি কখনই কোনো রকম ফ্যাসাদ পছন্দ করি না। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটাই আমার কাম্য। স্বতন্ত্র প্রার্থীর করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ রানা যিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, তার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ করেননি। কেউ করলে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।