Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Entertainment / প্রতারণার অভিযোগে মামলা, অভিনেত্রী নুসরাতকে তলব

প্রতারণার অভিযোগে মামলা, অভিনেত্রী নুসরাতকে তলব

কলকাতার অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে ২৪ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এবার ইডিতে ডাক পড়ল নুসরাতের। আগামী মঙ্গলবার তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রাকেশ সিংকেও তলব করা হয়েছে।
সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির পরিচালক ছিলেন তিনি। আরেক পরিচালক ছিলেন রাকেশ সিং। অভিযোগ, ২০১৪ সালে ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছিল তাঁর সংস্থা।

৯ বছর পরও কেউ ফ্ল্যাট পায়নি। সে সময় তিন বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।সম্প্রতি বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা এই প্রতারণার শিকার হওয়া মানুষগুলোকে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়ে নালিশ জানিয়ে আসেন। সরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারীদের টাকা দিয়ে নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি।

এই অভিযোগের পরপরই কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন নুসরাত। যেখানে তিনি দাবি করেন, যে কোম্পানিকে ঘিরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে, সেই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তিনি নিজের ফ্ল্যাট কেনেন, আর তার ঋণ, তিনি সুদ সমেত ফিরিয়েও দেন। নুসরাত টাকার অঙ্কে হিসেব দিয়ে জানান, ‘১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা’ তিনি ঋণ নিয়েছিলেন, ২০১৭-র ৬ মে সুদ সহ ১ কোটি ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দেই এই কোম্পানিকে’। সঙ্গে দাবি করেন, ২০১৭-র ১ মার্চ তিনি রিজাইন করেছিলেন সেই কোম্পানি থেকে।

এদিকে রাকেশ সিং দাবি করার পর সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে নুসরাত জাহানকে কোনো ঋণ দেওয়া হয়নি।

নুসরাতের বক্তব্যে তিনি হতবাক বলেও জানান। এখন দেখা যাক, গোটা ঘটনায় আরও কতটা ঘোলাটে হয় ইডি-র তদন্ত। কিছু নতুন দিক সামনে আসে।

About Rasel Khalifa

Check Also

গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি, জানা গেল কনের পরিচয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে যখন সারা দেশের মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তখন বেশ নিরব ছিলেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *