শামীম ওসমান হলো বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রখ্যাত একজন রাজনীতিবীদ। এছাড়াও তিনি নারায়গঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচইট হওয়া একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন টাকা ঢুকে গেছে, নাশকতা হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, সামনে নাশকতা হবে। অনেক টাকা ঢুকে গেছে। এমন নাশকতা হতে পারে যে বিএনপির মধ্যম সারির নেতাদের প্রাণনাশ করা হতে পারে। সেই দোষ আমাদের ওপর পড়তে পারে। কয়েকদিন আগের ঘটনা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন (জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ)। পরে জানা যায়, এই এলাকার এক সময়ের সাংসদ, যার হাতে আমাদের অনেক মানুষ প্রয়াত গিয়েছিল, তার ছোট ছেলের সম্পৃক্ততার কথা বেরিয়ে আসে স্বীকারোক্তিতে। তবে এই খেলা নারায়ণগঞ্জে নতুন নয়।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডিআইটি মাঠে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতাদের সতর্ক করে শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আমাদের ৪৯ জন প্রয়াত গেছে। ধৈর্যের একটা সীমা আছে। মাত্রা অতিক্রম করবেন না। নেত্রীর কথা শুনি, তাই নারায়ণগঞ্জে ঠান্ডা। আপনি যে ভাষায় খেলুন, আমরা সেই ভাষায় খেলব এবং আমরা জিতব। যত খুশি খেলুন। এটা অতিরিক্ত করবেন না. বাড়াবাড়ি করলে ‘বোলা গো’ বলার সুযোগ পাবেন না। কিন্তু কিছু ক্ষয় কিছু শাখা ভেঙ্গে দেবে। কিছু ক্ষতি হবে। তারপরও ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা। আমি সেই তথ্য নিয়ে রাজনীতি করি।
এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ। শেখ হাসিনা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ। তিনি আহত হলে এই দেশ এমন জায়গায় যাবে, জানি না আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারব কিনা। তারা রাজপথ দখল করতে চায়। নিক রাজপথ দখল করবেন। কিন্তু তারা আমার নেত্রীকে গালি দেবে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙতে চায়, ভাস্কর্য ভেঙ্গে বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে দিতে চায় আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব নাকি?’
তিনি বলেন, প্রতিবাদের রূপ এমন হওয়া উচিত যাতে গালি দেওয়ার সময় না থাকে। নারায়ণগঞ্জের অনেকেই বলছেন- শামীম ওসমানের দুই গালে জুতা মারুন। ধরা যাক এটা আমার মানায় না। কিন্তু আমার মাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই এ ধরনের কথা বলে যারা মহাসড়ককে হুমকি-ধামকি দিয়ে দখল করতে চায় তাদের বলতে চাই, রাজপথ শেখ হাসিনার কর্মীদের দখলে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। তারা আমার নেত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেবে, দেশ ধ্বংসের হুমকি দেবে এবং আমরা শুধু নারায়ণগঞ্জে বসে দেখব।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তিনি লন্ডনে বসে নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন। নেতার আনুগত্য করা ভালো। যে নেতা মায়ের জন্য আসে না, সে মা মরে গেছে। যে নেতা মায়ের জন্য দেশে আসেন না, সেই নেতা কীভাবে দেশের মানুষের জন্য আসবেন। সে আসেনি, তার স্ত্রীও আসেনি। তার মেয়ে তার দাদীকে দেখতে আসেনি।
শামীম ওসমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে। এরপর কী হলো? দেশকে অস্থিতিশীল করতে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারপর এলো করোনা মহামারী, এমনও বলা হয়েছিল যে ১০ লাখ মানুষ মারা যাবে। দেশের মানুষ বিনামূল্যে টিকা গ্রহণ করেছে এবং কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তার সমাধান করা তার (শেখ হাসিনা) পক্ষে সম্ভব নয়। এই সংকটের সময়ে বিএনপির ফখরুল সাহেবরা আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কিছুদিন পর চোখে সরিষার ফুল দেখতে পাবেন। কেন দেখবেন? কারণ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হয়ে যাবে। দেউলিয়া হয়ে গেলে বাংলাদেশ খুশি হবে না। কে এই সুখ? একাত্তরে পাক বাহিনী মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে, তাদের সাহায্যকারী রাজাকার, আলবদররা খুশি।
প্রসঙ্গত, শামীম ওসমান নারায়ণঞ্জ জেলার মানুষের ওানেক ভালোবাসার একজন মানুষ। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নারায়ণঞ্জের মানুষের জন্য শামীম ওসমান যা করেছেন তার জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে চিরকাল।