আজ হটাৎই কোনো ধরণের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের সাবেক নির্বাচন কমিশন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।আর এই বৈঠক নিয়ে ছিল তুমুল জল্পনা কল্পনা। তবে এবার জানা গেলো এর নেপথ্যে।
ইভিএম নিয়ে দেশে চলছে নানা বিতর্ক। তাই ইভিএমের চেয়ে সিসিটিভির ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ১৫০ টি ইভিএম কেনার বাজেট যতটা সম্ভব সিসিটিভি বসানো ভালো হবে। এছাড়া কাগজের ব্যালটে ভোট চুরি করা সহজে ধরা পড়ে। বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাবেক ইসি এসব কথা বলেন।
গাইবান্ধা নির্বাচন প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গাইবান্ধায় নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা স্বাগত। পরবর্তী পদক্ষেপগুলি একই হওয়া উচিত। তা না হলে জাতিকে দেখানোর মতো মনে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না তাহলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারে। পরিবেশ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত। সংবিধানের ১১৯ নম্বরে বলা হয়েছে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা।
গাইবান্ধা যেটা হয়েছে, আগে কোন কমিশনার এই কাজটি করতে পারেনি। ১৯৯৪ এ যদি এই কাজটা করতে পারতো। তাহলে রাজনৈতিক মাঠ অন্য রকম হতো।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে উল্লেখ করে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনার নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদের দিয়ে নির্বাচন করবেন, তাদের আগে আত্মবিশ্বাসী করতে হবে। যাতে তারা মনে করে জাতীয় নির্বাচনে আপনি তাদের রক্ষা করবেন। বরিশালে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, ইসির উচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সমর্থন করা।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণলায়ের এনআইডি কার্ড নিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেন এনআইডি নিতে চায় তা জানি না। এতে ভবিষ্যতে ভোটার তালিকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে। সরকার বুঝলে বুঝবেন। কারণ এই সরকারের আমলে আমরা ভোটার নিবন্ধন করেছি।