ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়টিকে ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে’ দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের তলবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে ধর্মমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকার সংবিধান রেখেছে আইন রেখেছে। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। অতএব বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন আমাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছে। আমি উপস্থিত হয়েছি, আমার কথা বলেছি। আমার বিশ্বাস মেজর কোনো অপরাধ যদিও বা না থাকে তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি।
কমিশন কী বলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন বলেছে, ‘আমরা বিষয়টি দেখব।’ এটা তাদের বিষয়।
আপনার কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না? প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক বলেন, না আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।
গত ৭ জানুয়ারি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পালবান্ধা ইউনিয়নের সিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দেন, যা ছবিসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনায় গত ১১ জানুয়ারি ফরিদুল হককে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের দিন তলব করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রকাশ্যে ভোট দান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- সে বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় নির্বাচন ভবনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ আসনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন ফরিদুল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় জয়ের পর তাকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এবার তিনি পদোন্নতি পেয়ে মন্ত্রী হয়েছেন।