সম্প্রতি এক মহিলাকে বেদমভাবে প্রাকশ্যে প্রহর করেছে এক ইউপি সদস্য। সুধু প্রহর করেই খেন্ত নয় সে, প্রহর করার ভিডিও ধারন করে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। যে ঘটনা গনমাধ্যম ও যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়। কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে মারধর করেছে ইউপি সদস্য ও তার ভাই। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। আহত নারী ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্য উপজেলায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ লেখা পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ বাজারের সুরুজ মিয়া মার্কেটে দেলোয়ার মিয়ার দোকানে প্রকাশ্যে এক নারীকে মারধর করছেন দেলোয়ার (৩৬) ও তার ভাই সুমন সরকার (৩০)। আহত নারী মরিয়ম বেগম (৩৮) উত্তর ত্রিশ গ্রামের মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। মরিয়ম বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মারধরে আহত মরিয়ম বেগম মুঠো মুঠোফোনে এক সংবাদ মাধ্যমে জানান, সুদান মিয়ার ছেলে মোঃ হাবিব (২৮), রাসেল (২৪), মাও. ইউনুস মিয়ার ছেলে মোঃ জামাল মিয়া (২৮), মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে মোঃ আলমগীর (৩০) হাসু মিয়ার ছেলে হেলাল (২৮), মৃত। তাবদল হোসেনের ছেলে রনি (২৩)সহ আরও ৫/৬ জন আমাকে রাস্তা থেকে তুলে দোকানের ভেতরে মারধর করে।
মারধর কেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে শতভাগ জমি বরাদ্দের মামলা চলছে। মেম্বার দেলোয়ার ও তার লোকজন জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসা করতে রাস্তা থেকে আমাকে তুলে দোকানের ভেতরে নিয়ে মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, দেলোয়ার মেম্বার ও তার লোকজনের ভয়ে আমি দ্বিবেদী উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। তাদের অত্যাচারের ঘটনা মনে হলেই তারা ভয়ে কেঁপে ওঠে। মামলা করলে তারা আমাকে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। তাই বাসা থেকে চলে যাচ্ছি।
নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, মরিয়ম বেগমকে নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। সে মাদক বিক্রি করে। তাকে ভালো হওয়ার পরামর্শ দিলে সে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং রাগের মাথায় তার মাথায় চড় মারতে থাকে।
নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন বলেন, মরিয়ম বেগম ও দেলোয়ার মেম্বারের সঙ্গে জামেলার কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে এসে দুজনকেই আটক করি। মুরাদনগর থানার ওসি আবু হাসিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এই ঘটনায় ওই নারীকে কেন তার এমনভাবে প্রহার করলেন সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সংবাদ মাধ্যম দ্বারা এটুকু বোঝা গেছে আসামী ক্ষমতাসীন হওয়া তার বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়নি ভুক্তভোগি।