বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোশাক খাতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আমরা মনে করি না। বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকারের অবস্থা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মতো নয়। পোশাক খাতের জন্য পঞ্চবার্ষিক কর্মপরিকল্পনা হয়েছে, অগ্রগতি হয়েছে ; সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) শ্রমনীতি পর্যালোচনা বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাচ্ছে। তাই শ্রম আইন নিয়ে পর্যালোচনা সভা করেছি। আমরা এ পর্যন্ত চারবার শ্রম আইন সংস্কার করেছি। আমরা একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
বাণিজ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইইউতে পোশাকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা দেয় না। তারা চেয়েছে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ১০ ভাগ শ্রমিকের সম্মতি লাগবে। আমরা ১৫ শতাংশ করেছি। আগে তা ছিল ২০ শতাংশ। সমস্ত অগ্রগতি তাদের জানানো হবে।
বেপজা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, বেপজা আইনের সংস্কার হয়েছে। আবারও আগামী বছর জুনে বেপজা আইনের সংস্কার হবে। এটা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। এ নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
তপন কান্তি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরও সংস্কার দেখতে চাচ্ছে। আরও অগ্রগতি দেখতে চায় শ্রম আইন বা শ্রম অধিকার নিয়ে। এটা একদিনে হবে না। এটা আমাদের জন্য একটা চলমান প্রক্রিয়া। সরকার এটা নিয়ে সচেতন আছে। সব ধরনের নিয়ম মেনেই বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি করা হয় বিভিন্ন দেশে। কারো দয়ায় বাংলাদেশ কোনো দেশে পোশাক রপ্তানি করে না।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানি বাজার যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে শিল্প মালিক ও সরকারও সচেতন। তাই যুক্তরাষ্ট্র যে স্মারকলিপি দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করে তাদের অগ্রগতি জানানো হবে।