অনন্ত জলিল ও বর্ষা ঢাকাই সিনেমা জগতের দুটি ব্যাপক জনপ্রিয় নাম। তারা একসাথে জুটি হয়ে সিনেমা করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই তারকা অভিনীত ”দিন দ্য ডে” নামক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দেশের ১১৫ টি সিনেমা হলে তাদের কল্যাণেই বিদেশি অ্যাকশনধর্মী সিনেমা উপভোগ করতে পারছেন বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীরা। তারাই এই প্রথম এই অ্যাকশনধর্মী সিনেমা উপহার দিচ্ছেন দর্শকদের।
দীর্ঘ আট বছর পর নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হলেন এই জুটি। গত ১০ জুলাই দেশের ১১৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তাদের চলচ্চিত্র ‘দিন দ্য ডে’। মুক্তির পর থেকে তারা প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যেই সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। এদিকে বর্ষা কেন অনন্তের প্রতিটি সিনেমার নায়িকা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় মিরপুরের সনি (স্টার সিনেপ্লেক্স) সিনেমা হলে হাজির হন অনন্ত-বর্ষা। এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বর্ষা বলেন, ‘আমাদের সিনেমার শো বেশি চলছে। অনুষ্ঠান বেশি হলে দর্শক বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের পুলিশকে আমরা এখানে হাইলাইট করেছি। সিনেমাটি যখন বিদেশে মুক্তি পাবে, তখন সেখানকার দর্শকরা দেখে বলবে- বাহ বাংলাদেশের সরকার, বাংলাদেশের পুলিশ এত বেশি সচেতন।’
সব সিনেমায় অনন্তের নায়িকা কেন, এ প্রসঙ্গে বর্ষা বলেন, ‘আপনারা কী ধরনের নায়িকা পছন্দ করেন? সেই নায়িকা পছন্দ- যারা পেটে সন্তান নিয়ে কিংবা সন্তান প্রসব করে হাইডে (আড়ালে) থাকে? নাকি যারা হে/’রোই”ন, ফে’নসি’/ডিল, ম’/’দ, গাঁ”জাসহ ধরা পড়ে পুলিশি হেফাজতে থাকে? যে অভিনেত্রীরা স্পন্সর নিয়ে বিয়ের শাড়ি পরেন, তাদেরকে কী আপনাদের পছন্দ? অনন্ত জলিলের সাথে তাদের কী মানাবে? আমি সেই গ্রেডের নায়িকা নই। আমি আমার জায়গায় আছি।’
বাজেটের কারণে ইতিমধ্যেই আলোচনায় রয়েছে অনন্ত-বর্ষার ‘দিন দ্যা ডে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটির ব্যয় ১০০ কোটি টাকা। এই সিনেমার বাংলাদেশ অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে টাকা খরচ হয়েছে, সেই অংশটুকুই তিনি বিনিয়োগ করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক।
বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে পাড়ি জমান তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশ, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরান, এই চারটি দেশকে একসঙ্গে নিয়ে এসেছে ‘দিন দ্য ডে’ ছবিটি, আর এই ছবিতে তাদের জীবন যাত্রা উঠে এসেছে কষ্টের দিকগুলো। ইরানের নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজমের পরিচালনায় এতে আন্তর্জাতিক সংস্থার পুলিশ অফিসারের চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়েছেন অনন্ত জলিল। তিনি বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদে পড়া স”ন্ত্রা/”সী গোষ্ঠীর দমনে অংশ নেন। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সিনেমায় নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন অনন্ত জলিল। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ ও ইরানের অভিনেতারা।
এদিকে এই সিনেমা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি, যেটার জবাব দিয়েছে অনন্ত ও বর্ষা দুজনেই। তারা দুজনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একসাথে এসে নানা ধরনের কথা বলেন। তাদের নিয়ে সমালোচনা করাকে কেন্দ্র করে বর্ষা জানিয়েছেন, এরপর তিনি আর কোনো সিনেমায় অভিনয় নাও করতে পারেন।