গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিকেলের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছের এলাকার একটি সড়কে ম’র্মা/’ন্তিক এবং ভিন্ন এক ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনার মাধ্যমে আহ”ত রুবিনা আক্তার নামের একজন ৪৫ বছর বয়সী নারী প্রয়াত হয়েছেন। জানা গেছে ঐ গাড়ির চালক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষক এবং ঐ ব্যক্তির নাম আজহার জাফর শাহে। তিনি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এই ঘটনায় তিনি নিদারুনভাবে গনপি’টুনি খেয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুবিনা আক্তার তার দেবর নুরুল আমিনের (৪০) বাইকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকার চালক পিছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় ওই নারী প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়ে এবং তার কাপড় বাম্পারে জড়িয়ে যায় এবং তিনি গাড়ির নিচে আটকে যান। তাকে ঝু”লিয়ে নিয়ে নীলক্ষেতের দিকে গাড়ি চালাতে থাকে চালক।
এ সময় নুরুল আমিন নিজেকে কোনো রকম সামলে উঠে দাঁড়িয়ে দেখতে পান তার ভাবি গাড়ির নিচে এবং গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে ছুটে যেতে থাকে। এ অবস্থা দেখে সে গাড়ির পেছনে দৌড়াতে থাকে। একপর্যায়ে টিএসসি এলাকার লোকজন গাড়িটিকে ধাওয়া করে এবং থামানোর জন্য চিৎকার করতে থাকে। তারপরও গাড়ি থামাননি চালক জাফর শাহ।
এক কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে পলাশীর দিকে নীলক্ষেত মোড় নিয়ে গেলে জনতা তাকে আটক করে। পরে মুমূ”র্ষু অবস্থায় থাকা ওই নারীকে গাড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ”/ত ঘোষণা করেন।
এ সময় উত্তেজিত জনতা গাড়ির চালককে পি”টিয়ে গুরু”তর আহ”ত করে। একপর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নূর মোহাম্মদ যিনি শাহবাগ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, যে নারী গাড়ির নিচে পড়ে আহ”ত হয়েছিলেন তিনি আর বেঁচে নেই। চালককে জনগন মিলে কিছু পিটু’নি দিয়েছে আমরা সেখানে পৌছানোর আগেই। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গাড়িটিকে আমরা ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করেছি।