Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পুড়া মুখ দেখমু জানলে চাকরিত দিতাম না,আমার সব শেষ: লাইভ করা সেই নয়নের বাবা

পুড়া মুখ দেখমু জানলে চাকরিত দিতাম না,আমার সব শেষ: লাইভ করা সেই নয়নের বাবা

গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সর্বপ্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সবাইকে অবগত করেছিলেন অলিউর রহমান নয়ন নামে এক তরুণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত সেখান থেকে আর বেঁচে ফেরা হয়নি তার। হঠাৎ বিস্ফোরণে মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেন তিনিও। এদিকে তাকে হারিয়ে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অলিউরের বাবা।

অলিউর রহমান নয়নের বাবা আশিক মিয়াকে সান্ত্বনা দিয়ে কেউ কান্না থামাতে পারছে না। বিলাপ করে বলছেন, ‘আমার ছেলের পুড়া মুখ দেখমু জানলে, তারে চাকরিত দিতাম না। আমার পুয়ারে আমি কিলা মাটি দিতাম? তার টেকায় সংসারের অভাব কিছুটা দূর অইছিল। বাকি সন্তানদের লইয়া কিলা দিন কাটাইতাম? আমার সব শেষ।

৬ জুন সোমবার সকাল ১১টায় নয়নের মরদেহ কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নয়নকে শেষবারের মতো দেখতে ইতিমধ্যেই এলাকার লোকজন ভিড় জমায়। যে-ই দেখেছে নয়নের জন্য অশ্রু বিসর্জন করেছে।

দুপুর ২টায় ফতিগুলী গ্রামের মসজিদের সামনে জানাজা শেষে নয়নের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

জানা যায়, পরিবারে চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। নয়নকে অল্প বয়সে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে প্রায় পাঁচ মাস আগে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে যোগ দিতে হয়েছিল তার বাবা, সৎ মা এবং ভাইবোনদের সাথে অভাবী পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য। মাসে ১০-১২ হাজার টাকা আয় করতেন। তাই সংসার চলছিল।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে যেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেনি বাবা আশিক মিয়া। তার এ অকাল মৃত্যু যেন কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ছেলের মৃত্যুর আহাজারি করেই চলেছেন তিনি।

About Rasel Khalifa

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *