বাজারভিত্তিক সুদের হার কপাল পুড়েছে ক্ষুদ্র ও সরকারি-বেসরকারি খাতের কর্মীদের। মুদ্রাস্ফীতির হাত থেকে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের রক্ষার বিধান প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে ব্যক্তি ও সরকারি-বেসরকারি খাতের কর্মীদের যৌথ আমানতের বিপরীতে বাজারের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি বিধান ছিল যে ব্যক্তি ও সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের বিভিন্ন তহবিলের জমা আমানতের বিপরীতে মূল্যস্ফীতির গড় হারের চেয়ে কম সুদ দেওয়া যাবে না। সুদের হার মূল্যস্ফীতির গড় হারের চেয়ে বেশি হবে। ফলে আগে ক্ষুদ্র আমানতকারীরা মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে বেশি সুদ পেতেন। এখন আপনি বাজার ভিত্তিক সুদের হারের কারণে মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে বেশি সুদ পাবেন না। কম সুদ পাবেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
সূত্র মতে, মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা রোধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 8 আগস্ট, ২০২১-এ একটি সার্কুলার জারি করে। বলা হয়, ৩ মাস বা তার বেশি সময়ের ব্যক্তিগত আমানত এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভবিষ্য তহবিল, অবসর-পরবর্তী বকেয়াসহ বিভিন্ন পাওনা পরিশোধের উদ্দেশ্যে গঠিত তহবিলে জমা করা যেকোনো পরিমাণ গড় হারের চেয়ে কম হবে না। মুদ্রাস্ফীতি অর্থাৎ গড় মুদ্রাস্ফীতি হারের তুলনায় তাদের উপর বেশি সুদ দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে বেশি সুদ দিয়ে আসছে। আগের সার্কুলার প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার নতুন সার্কুলার জারি করা হয়েছে।ফলে এখন থেকে ব্যাংকগুলো নিজস্ব বিবেচনায় সুদ দিতে পারবে।।
১ জুলাই থেকে ঋণের সুদের হার আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বাজারভিত্তিক ছিল। ফলে এখন আর আমানতের বিপরীতে ওই হিসাবে সুদ দেওয়া যাবে না। এখন বাজারের ভিত্তিতে সুদ দেওয়া হবে এভাবে আমানতের সুদের হার কমবে। কারণ ব্যাংকগুলো এখন সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে আমানত নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে।