Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / National / হঠাৎই পুলিশের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিলেন রাষ্ট্রপতি
President Abdul Hamid

হঠাৎই পুলিশের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিলেন রাষ্ট্রপতি

পুলিশ (police) দেশের অভ্যান্তরীন অপরাধ দমন এবং জনগনের জান-মাল নিরপত্তা প্রদানে বিশেষ ভাবে কাজ করে থাকে। তবে অনেক সময় এই বাহিনীর বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তিদের অনিয়মের জের ধরে পুরো বাহিনী নানা ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি (President Abdul Hamid) এই বাহিনীকে জনগনের সেবায় সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

সেবাপ্রত্যাশী মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ (President Abdul Hamid)। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পুলিশ (police) সপ্তাহের এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে আইনি সেবা নিতে পুলিশের কাছে আসে। আপনারা এই লোকদের সমস্যা এবং অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনবেন। তাদের আন্তরিকভাবে আইনি সেবা দিতে দ্বিধা করবেন না। সেবাপ্রার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবন থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে (Rajarbagh Police Lines) ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব জনগণকে পুলিশি সেবা প্রদান করা আপনাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। জনগণের সেবা সহজতর করার জন্য আপনাকে আরও সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং-এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশকে ‘জনবান্ধব পুলিশ ও মানবিক পুলিশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মাদক একটি বড় সামাজিক কুফল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দেশের তরুণদের একটি অংশ মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধে জড়িত। পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মচারী এ অপরাধে জড়িত বলে গণমাধ্যমে বারবার খবর আসছে। যা খুবই অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। তরুণদের মাদকের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে। জিরো টলারেন্স নিয়ে এ ব্যাপারে পুলিশকে আরও সক্রিয় ও তৎপর হতে হবে। প্রয়োজনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোকে বিশ্ব পর্যায়ে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে বিদেশি পুলিশ কর্মকর্তারাও প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী হন। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে কাজ করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনে অগ্রগতি ছাড়া বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আত্তীকরণের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশকে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনে সমৃদ্ধ হতে হবে। আমি মনে করি বাংলাদেশ পুলিশের এ জন্য একটি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ দরকার। এই ‘থিংক ট্যাংক’ বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রম ও তদন্তে বৈজ্ঞানিক কৌশলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন, প্রশিক্ষণসহ সার্বিক কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। রাষ্ট্রপতি সাইবার অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইজি বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার এই পুলিশ বাহিনীকে আর্ন্তজাতিক মানের করে গড়ে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এমনকি অধুনিক সব প্রযুক্তিতে এই বাহিনীকে সজ্জিত করার লক্ষ্যে হাতে নিয়েছেন বেশ কিছু প্রকল্প। এমনকি বাহিনীতে থাকা অসাধু ব্যক্তিদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছেন।

About

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *