Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পুলিশ নিয়ে হাজির দুই ‘স্ত্রী’, শিক্ষা কর্মকর্তার বিয়ে পণ্ড

পুলিশ নিয়ে হাজির দুই ‘স্ত্রী’, শিক্ষা কর্মকর্তার বিয়ে পণ্ড

নেত্রকোনা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। হঠাৎ অনুষ্ঠানে হাজির হন দুই নারী। তাদের দাবি, তারা সাজ্জাদ হোসেনের সাবেক স্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশও হাজির। এরপর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।

তবে সাজ্জাদ দাবি করেছেন, যে নারী নিজেকে তার স্ত্রী বলে দাবি করেছেন তাদের একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, কিন্তু তার তালাক হয়ে গেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। অন্যজন স্ত্রী নয়, নিকটাত্মীয়।

সোমবার বিকেলে জেলা শহরের কুরপাড় এলাকায় বিয়া বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

সাজ্জাদ হোসেন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাখানা গ্রামের বাসিন্দা।

যে দুজনকে স্ত্রী বলে দাবি করেছেন তারা হলেন পিয়া জাহান ও নওরীন হাসান নিসা। তাদের একজনের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলায়, অন্যজনের বাড়ি খালিয়াজুরীতে। এ ব্যাপারে নওরীন হাসান পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একজন নারী জীবিত থাকা অবস্থায় আরেকটি বিয়ের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিকারী নিসা বলেন, “গত বছরের ১ জুলাই সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। কয়েক মাস আগে সাজ্জাদ আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে জানতে পারি। তার (সাজ্জাদের) আগের স্ত্রী আছে।তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।আজ জেলা শহরের কুরপাড় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে তার আরেকটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে।বিষয়টি শোনার পরপরই আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ সুপারের কাছে বিয়ে বন্ধ করার জন্য।পরে পুলিশ গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।আমি তার বিচার চাই।

প্রথম স্ত্রী বলে দাবি করা পিয়া জাহান বলেন, “তিন বছর আগে সাজ্জাদের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। তারপর থেকে আমরা ময়মনসিংহে একসঙ্গে ছিলাম। পরে বদলি হয়ে ধর্মপাশায় গেলে আমার সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়। কয়েক কয়েক বছর আগে সে অন্য কাউকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।আমিও সেখানে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলাম।পরে শুনলাম সে তার আত্মীয় নিসাকে বিয়ে করেছে।তারপর আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করি।মামলা চলছে।শুনেছি সে অন্য একজনকে বিয়ে করছে। মঙ্গলবার পরে পুলিশের সহায়তায় আমরা বিয়ে বন্ধ করি।

জানতে চাইলে বর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পিয়া জাহানকে বিয়ে করার পর বিয়ে না হওয়ায় তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। তার সাথে আমার মামলা আছে। আমি আইনগতভাবে বিষয়টি মোকাবেলা করব। নিসা আমার আত্মীয়, তার সাথে বিয়ে হয়নি। পারিবারিক দ্বন্দ্বে তারা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছে।

About Zahid Hasan

Check Also

কাল নিলেন উপদেষ্টার দায়িত্ব, আজ হলেন আসামি: যা বললেন বশির উদ্দিন

নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন নিজের নামে মামলা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি পুরো বিষয়টি স্পষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *