সাইফুজ্জামান চৌধুরী হলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ভূমিমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি চট্রগ্রামের চ এম্বার অব কমার্সের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন পুলিশ প্রশাসন কঠোর হলে আ. লীগের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যেত।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সাধারণত যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, দেশের পুলিশ বাহিনীকে তাদের নির্দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু বরাবরই দেখা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন কঠোর হলে আওয়ামী লীগের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যেত।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ের বহুমুখী ড্রিল সেডে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার বাসায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছে। ঢাকা থেকে বড় বড় নেতাকর্মীরা বাবার সঙ্গে আলোচনা করতে চট্টগ্রামে আসতেন। আমরা ছিলাম মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি। যার কারণে পুলিশের আচরণ আমাদের প্রতি ছিল খুবই নমনীয়।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয় বা সহযোগিতা করার প্রবণতা দেখেছি। পুলিশ প্রশাসন কঠোর বা সহিংস হলে আওয়ামী লীগের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যেত। আওয়ামী লীগকে টিকে থাকতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কঠিন সময়ে আপনারা তা প্রমাণ করেছেন। বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য ছিল, কিন্তু আমরা সবসময় লক্ষ্য করেছি যে তাদের সবারই আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বলতা ছিল। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে।
আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী প্রজন্ম জাতির পিতাকে অন্তরে আগলে রাখবে। কারণ তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরওয়ার কামাল, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব এম এ মাসুদ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এএস এম মাহতাব উদ্দিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশ হলো জনগনের অনেক বড় বন্ধু। সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা প্রধানের সাথে সাথে পুলিশ সমাজ থেকে সব ধরণের অপরাধ দমন করে থাকে ফলে মানুষ সুখে ও শান্তিতে সমাজে বসবাস করতে পারে। যেকাহনেই অপরাধ সংঘটিত হয় সেখানেই পুলিশ যেয়ে অপরাধকারীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের এই সহযোগিতামূলক কাজের জন্য মানুষ তাদের কাছে সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ।