লেডি বাইকার রিয়া। এ নামটির সাথে হয়তো অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকা ব্যক্তিবর্গের মধ্যে তিনি একজন। তাই নতুন করে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না। জানা গেছে, মাদক সেবনের অভিযোগে এবার সেই লেডি বাইকার রিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ নভেম্বর) পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার বয়ফ্রেন্ড আরমান সামীকে।
জানা যায়, আরমান সামী নগরীর মিরাপাড়ার ১৪৯/বি নং বাসার শামসুল ইসলামের পুত্র। আর রিয়া রায় নগরীর কুমারপাড়ার মন্দিরগলির ঝর্ণারপাড় ৬২/এ এর বামিন্দা রামু রায়ের মেয়ে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ষোলঘর এলাকায়।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, রোববার রাতে বয়ফ্রেন্ড আরমান সামীকে নিয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় যান রিয়া। নীল রঙের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো খ ১৪- ০৫১২) নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরছিলেন তারা। টহল পুলিশের সন্দেহ হলে গাড়িটি থামানোর সংকেত দেয়া হয়। একটু দূরে গিয়ে থামে গাড়িটি। তখন গাড়ি থেকে এক তরুণী দ্রুত নেমে যান।
তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষনিক গাড়িটি চালানো অবস্থায় থাকায় আরমান সামীকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর আরমান সামীই জানায়, পালিয়ে যাওয়া তরুণী রিয়া রায়। এসময় পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে মাম পানির বোতলে রাখা বিশেষ মাদক, ইয়াবা, গাজা উদ্ধার করে।
ওসি জানান, সোমবার সকালে গ্রেপ্তার হওয়া আরমান সামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার এসআই গৌতম চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে রিয়া ও আরমান সামীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই রীতিমতো লাপাত্তা রয়েছেন লেডি বাইকার রিয়া। মামলা দায়েরের পর তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি রিয়া, ফলে এখনো তার কোনো খোঁজ পায়নি পুলিশ। তবে তাকে গ্রেপ্তারের সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।