‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংকের অর্থ লোপাট ও অর্থপাচার’ এর প্রতিবাদে সচিবালয়ের সামনে দুই দফা বিক্ষোভ মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে ডেমোক্রেসি পার্টির নেতা জোনায়েদ সাকিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটকও করেছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষে সচিবালয়ের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
‘পুলিশ হামলার’ প্রতিবাদে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়। আমাদের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি পুলিশের হামলায় আহত হন। তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মিছিলের আগে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন,‘সরকার যতই হাবভাব দেখাক না কেন রোজায় দাম কমাতে পারবে না। বাংলাদেশ এখন যেভাবে চলছে এর থেকে খারাপভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, “একদল এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে মরিয়া। সরকার মেগা প্রকল্প করে মেগা লুটপাটের জন্য। এই লুটের টাকা সবাই ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। মাঠে না নামলে এই সরকারকে হঠানো যাবে না। বিদেশিদের ওপর ভরসা করবেন না। তারা শুধু সুবিধা নেয়। জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকারকে বিদায় করে আমাদের জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
এদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিএনপিসহ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো।