বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বড় ধরনের একটি নাটক। আর এই নাটকের প্রধান চরিত্রে ছিলেন খুলনার মেয়ে মরিয়ম এবং তার মা। এ দিকে টানা ২৮ দিন আত্মগোপনে থাকা রহিমা বেগমকে অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে ফরিদপুর থেকে।শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারের পর পুলিশ সদস্যরা রহিমাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনো উত্তর দেয়নি। তবে রহিমা বেগম যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, রহিমা তাদের জানায়, সে বেশ কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম ও মোকসেদপুরে ছিল। এরপর ১৭ আগস্ট রহিমা বেগম তাদের বাড়িতে আসেন। তার একটি ব্যাগে দুই প্যাকেট বিস্কুট, কিছু কাগজ এবং কিছু কাপড় ছিল।
যে বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয় তার মালিক কুদ্দুস এক সময় খুলনায় রহিমার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রহিমা বেগম ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে রয়েছেন। এরপর শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে গিয়ে দুই নারীর সঙ্গে কথা বলতে দেখেন রহিমা।
এ বিষয়ে রহিমা বেগমের নিখোঁজ সন্তানের মামলায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য রহিমা বেগম পরিকল্পিতভাবে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন বলে গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের দাবি। বিষয়টি তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা জানতেন।
উল্লেখ্য, গেল ২৭ অগাস্ট শুরু হয় এই নাটকের সূত্রপাত। নিজ বাড়ি থেকে পানি আনার কথা বলে আত্মগোপনে চলে যান রহিমা বেগম। আর সেই থেকেই তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান মাকে খুঁজতে তোলপাড় করে ফেলেন দেশ। তার আবেগি সব স্ট্যাটাস এ দেশের মানুষ একেবারেই গেলে পরে। শেষ পর্যন্ত নিজের মায়ের মৃত্যুর খবর ও দেন তিনি। তবে সব কিছুই ছিল তার সাজানো যা প্রমান পেয়েছে তার মাকে ফিরে পাওয়ার পর থেকেই।