আজকাল অপরাধকারীদের যে দুঃসাহস বেড়েছে তাতে মানুষ খুব নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একজন আসমী কতটা যে মারমুখী হতে পারে সেটা কানে শুনলে বা চোখে না দেখলে কখনো বিশ্বাসী হবে না। সম্প্রতি ঘটে গেল একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। অপরাধ করেও পুলিশের সামনেই আসামী বললো তিনি বলেন, ’প্রাণনাশ করছি নাকি? দুই-চারটা প্রাণনাশ করলেও সমস্যা নাই। দুই-চার-পঞ্চাশ কোটি টাকার ক্ষমতা আছে।
আশুলিয়ায় সড়কে চিকিৎসক দম্পতিকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় গ্রেফতার আসামি জামাল দেওয়ান (৪৫) পুলিশের সামনে বলেন, দু-চারটি খুন হলেও সমস্যা নেই। শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে পুলিশের সামনে জামাল দেওয়ান এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রাণনাশ করেছি নাকি? দু-চারটা প্রাণনাশ হলে সমস্যা নেই। দুই-চার-পঞ্চাশ কোটি টাকার খেমটা (ক্ষমতা) আছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার কুটুরিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চিকিৎসক বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেন। আজহারুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে আজহারুল ইসলাম তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সাইড দিতে গিয়ে রকি দেওয়ান নামে এক যুবক তার প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। যুবকের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের পর ডাক্তার পাশের একটি রেস্তোরাঁ থেকে ছুরি এনে দম্পতির ওপর হামলা চালায়। এ সময় রকির বাবা জামাল দেওয়ান ও চাচা কামাল দেওয়ান চিকিৎসক দম্পতিকে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন। চিকিৎসক আজহারুল ও তার স্ত্রী ও সন্তানদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযানে আসামি ২ নম্বর আসামি জামাল দেওয়ানকে গ্রেফতার করা হলেও অধ্যক্ষ ও তার ছেলে রনি দেওয়ানসহ কমলা দেওয়ান নামে আরও দুজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই ফরহাদ বিন করিম বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, প্রধান আসামি রকি মাদকাসক্ত। ছয় মাস আগে রিহ্যাব সেন্টার থেকে এসেছেন। তার বাবা জামাল দেওয়ানের বেশ কয়েকটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রয়েছে। তাদের দেখাশোনা করে এবং একটি বাড়ি আছে, যেখান থেকে সে ভাড়া আদায় করে।পাবলিক হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, তারা মূলত হিংস্র প্রকৃতির।তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মূল আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহীনি অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর। অপরাধী যেই হোক না কেনো তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে উপযুক্ত শাস্তি প্রধান করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহীনি দায়িত্ববান না হলে দেশে অপরাধের সংখ্যা আরো বেড়ে যেত।