থানায় ঢুকে থানার ভিতরে লাগানো গাছের কিছু চারা খেয়ে ফেলেছে ছাগল। গাছের চারা খাওয়ার অপরাধে ছাগলটিকে আটক করেছে থানার পুলিশ। সেই ছাগলকে ছাড়াতে স্থানীয় এমপি ফোন করেছিলেন। বিষটি জানাজানির পরে মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সবার ভিতরে কোতুহল জাগে ছাগলটিকে ঘিরে।
হবিগঞ্জের বাহুবল মডেল থানার ভেতরে কিছু গাছের চারা খাওয়ার অভিযোগে এক রামছাগলকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদকে ফোন করলেও এ ঘটনায় কোনো কাজ হয়নি। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে সমালোচনা। জানা গেছে, বাহুবল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. গত মঙ্গলবার বাহুবল মডেল থানার ভেতরে ফারুক আহমেদের একটি রাম ছাগল কিছু চারা খেয়ে ফেলে। এরপর ছাগলটিকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ছাগলটিকে থানায় আটক রাখা হয়। বিষয়টি জানার পর শনিবার বিকেলে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রকিবুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, থানার ভিতরে গাছ ভাঙার অভিযোগে ইউপি সদস্যের ছাগলকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সংসদ সদস্যসহ কয়েকজন আমাকে ফোনে ছাগল ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু আমরা ছাগলটিকে পাশের খাদে জমা করি। রামছাগলের মালিক ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া বলেন, আমার ১০ বছরের নাতি নাহিদ ওই ছাগলের জন্য কান্নাকাটি করছিল। সেজন্য আমি তা ছাড়তে গিয়েছিলাম। পুলিশ জানায়, ছাগলটি খাওয়াদারে জমা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো জামানত পাইনি।বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রশিদ আহমেদের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও ছাগলটি ছাড়া হয়নি। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদ-এর শরণাপন্ন হন। ওসিকে ফোন করার পরও আমার ছাগলকে থানা থেকে ছাড়া হয়নি। গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন, আমি ওসিকে ছাগল ছেড়ে না দিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য ফোন করেছি।
উল্লেখ্য থানায় ঠুকে গাছের চারা নষ্ট করার অভিযোগে এক ছাগলকে আটক করেছে উক্ত থানার পুলিশ। আটককৃত ছাগলটি স্থানীয় ইউপি সদস্যের। ইউপি সদস্যের নাতির ছাগলটি। ছাগলটিকে আটকের কথা শোনার পরে নাতি খুব কান্নাকাটি করায় থানায় গিয়ে ছাগলটিকে ছাড়াতে ব্যার্থ হয়েছেন ইউপি সদস্য। পরে স্থানীয় এমপির সহায়তা নিয়েছিলেন ছাগটিকে ছাড়ানোর জন্য।