রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম এলাকার দরিদ্র পরিবারের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোর আসামিকে পরামর্শ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, তোমার সামনে অনেক সুযোগ রয়েছে। পড়াশোনা করে বড় হতে হবে। মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। আমরা তোমার জন্য দোয়া করি।
গত ১২ নভেম্বর এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অষ্টম শ্রেণির কিশোর ও তার সহপাঠীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মিরপুরের দারুস সালাম থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলায় আগাম জামিন নিতে আদালতে আসেন কিশোর।
জানা যায়, ছেলের বাবা আমির হোসেন হাঁস-মুরগি বিক্রি করেন। এক রুমের বাসায় স্ত্রী-পুত্রসহ পাঁচজন থাকেন।
দীর্ঘ সময় ধরে ওই শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীর বাবা ও চাচার বক্তব্য শোনেন আদালত। প্রাথমিকভাবে আদালতের ধারণা করেছিল, ওই কিশোর ছাত্র অপরাধী। পুরো শুনানির সময় তাকে দাঁড় করিয়ে রাখেন আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারিক আদালত থেকে ওই ছাত্রীর সহপাঠীর জবানবন্দি নেওয়া হয়।
ওই বক্তব্য পড়ে হাইকোর্ট বলেছে, কিশোর ছাত্রের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে বলে তারা মনে করেন না। যে ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হচ্ছে। পরে পরীক্ষার্থী বিবেচনা করে ওই কিশোরকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরে আদালত কিশোরকে বলেন, তুমি চাইলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হতে পারো। তোমার বাবা রাস্তায় মুরগি বিক্রি করে টাকা রোজগার করতে কত কষ্ট করেন? মা-বাবার কথা মেনে চলতে হবে। পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে।
আদালত আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দোয়া করি তুমি বড় মানুষ হও। যদি আমরা বেঁচে থাকি তাহলে বড় অফিসার হয়ে দেখা করতে আসবে।