আজ দুপুরে আদালত চত্বরে ঘটে গেছে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। পুলিশের চোখে স্প্রে দিয়ে সেই সাথে কিল ঘুসি দিয়ে পুলিশকে অপ্রস্তুত করে পালিয়ে গেছে ফাঁ*সির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি। আর এ নিয়ে এখন রাজধানী সহ সারা দেশে জারি করা হয়েছে করা নিরাপত্তা। এ দিকে আদালত থেকে পালিয়ে আসা দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহছান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটক থেকে মোটরসাইকেলে করে ২ আসামিকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। চার আসামির মধ্যে দুজনকে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করে কারাগারে নেওয়ার সময় অপহরণ করা হয়।
গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৮ আসামি ও ১১ জনকে খালাস দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
১৩ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় বেশ চটেছে আদালত। পুলিশের কাছ থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সবাই। তবে তাদের দুই জনকে ধরতে ঢাকায় জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট। প্রশাসন বলছে খুব শিগ্রই ধরা হবে তাদের।