‘পুলিশের ( পুলিশের 'Police ) চাকরি’ এই কথাটা বলা যতটা সহজ, আসলে তা করাটা ঠিক ততটাই কঠিন। যেদিন থেকেই পুলিশের পোশাক গায়ে জড়ানো হয়, সেইদিন থেকেই এদেশ ও দেশের মানুষের জীবন ও মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পড়ে যায় তার ওপর। আর এ জন্য তাকে নিতে হয় নানা প্রশিক্ষণ।
এ কারণে কক্সবাজার ( Cox' Bazar ) থেকে রাসেল চন্দ্র দে ( Russell Chandra Dey ) ডগ স্কোয়াড ব্যবস্থাপনা ও ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডে ( Netherlands ) যান। কিন্তু সেখান থেকে নিখোঁজ হন রাসেল। দেশে ফেরেননি। চট্টগ্রাম মে ( May )ট্রোপলিটন পুলিশের ( Chittagong Metropolitan Police ) (সিএমপি ( CMP )) কাউন্টার টেরোরিজম ডিভিশনের ( Counter Terrorism Division ) ৮ সদস্যের ডগ স্কোয়াড দল থেকে নেদারল্যান্ডে ( Netherlands ) পালিয়ে যান রাসেল। রাসেলের বাবার নাম চন্দ্র দে। শনিবার ( Saturday ) (২৬ মে ( May )) বিকেলে ( afternoon ) তার বাড়িতে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
দুবাই প্রবাসী সুভাষ চন্দ্র জানান, প্রশিক্ষণ শেষে রাসেল পালিয়ে যায়। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি পুলিশের চাকরি করব না, তাই দেশে ফিরে আসিনি। পুলিশের চাকরিতে পোষা নয়। তাই চাকরিটা আর করব না। আমি এখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশে ফিরব না। তিনি বলেন, তার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর কারণে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এমনকি এখন তিনি পরিবারের সবার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন জানান, কনস্টেবল রাসেল চন্দ্র দে-এর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছে। তারা জানান, রাসেল তার বড় ভাই দুবাই প্রবাসী সুভাষকে দেশে না ফেরার জন্য জানিয়েছিলেন। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে রাসেলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলেও পুলিশকে জানিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, ডগ স্কোয়াডে প্রশিক্ষণের জন্য চলতি মে মাসের গত ১০ তারিখ দলের সদস্যদের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসে যান রাসেল। প্রশিক্ষণ শেষে গত ২৪ মে দেশে ফেরার কথা ছিল সবার। কিন্তু অন্যরা দেশে ফিরলেও নেদারল্যান্ডস থেকে লাপাত্তা হয়ে যান দুইজন। আর তাদের মধ্যে একজন রাসেল।