এই মুহুর্তে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই মুহুর্তে তার শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। তবে দেশে তার উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও, বিএনপির এ আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাবেশে ডেকেছে বিএনপি। আর এ সমাবেশে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। কিন্তু সমাবেশে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় তার সাথে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা তার ভ্যারিফাইড ফেইজবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
রুমিন ফারহানা লেখেন, ‘এত ভয় বিএনপিকে? এত ভয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে?
এই মুহূর্তে আছি ভৈরব সেতুতে। এই ছবির পুলিশরা আমার পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে ঘণ্টাখানেক হলো।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপরে জুলুম বন্ধ করে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়ার দাবিতে আজ জনসভার আয়োজন ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। গুণ্ডা সংগঠন ছাত্রলীগকে দিয়ে একই জায়গায় সমাবেশ আহ্বান করিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে আমাদের সমাবেশ পণ্ড করা হয়েছে। এখন এমনকি আমাদেরকে এলাকায়ও যেতে দিচ্ছে না।
বুঝতে পারছি দেশের মানুষের প্রাণের সংগঠন বিএনপি যখন রাস্তায় নেমেছে তখন জুলুমবাজ সরকারের শরীরে কাঁপুনি ধরে গেছে। এসব করে ওরা প্রমাণ করছে বিএনপিকে, বেগম জিয়াকে কতটা ভয় পায়।
পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই রাষ্ট্রের নাগরিকদের বেতনে আপনাদের পোষা হয় রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী হবার জন্য, আওয়ামী লীগের গুন্ডা হবার জন্য নয়। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা দেবার কোন আইনী ম্যান্ডেট আপনাদের নেই। সংযত হন, সব কিছুর হিসাব রাখা হচ্ছে। হিসাব মিটিয়ে নেয়া হবে, খুব বেশি দেরি আর নেই।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘ দুই বছর কারাভোগের পর শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। আর সেই ধারাবাহিকতায় দেশেই চিকিৎসা নিতে পারছেন তিনি। এদিকে এর আগে প্রশাসন জানিয়েছে, আইনগত ভাবে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবে না। সুতরাং দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে তাকে।