সম্প্রতি রাজধানীতে ঘটে গেছে একটি বড় ঘটনা। পুলিশকে পিটিয়েছে একজন রিক্সা চালক। আর এই ঘটনার ভিডিও এখন সাড়া ফেলেছে সবখানে। এ দিকে এবার এ নিয়ে ভিন্ন তথ্য দিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তিনি বলেছেন, রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের ট্রাফিক বক্সে হামলা ও ভাংচুর ও পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনায় যারা জড়িত তারা কেউ রিকশাচালক নন। পুলিশকে হতাশ করতে এবং সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে মিরপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হামলার সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে আটকের পর তিনি এ তথ্য জানান। হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় তাদের কয়েকজন বড় ভাই হামলাকারীদের সমর্থন করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তবে তাকে সমর্থনকারী বড় ভাইদের পরিচয় ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রকাশ করেননি তিনি।
ডিবি প্রধান হারুন আরো বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে শুক্রবার মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। এদিকে, তাদের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বড় ভাই ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়ায় যে এক পঙ্গু ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত রিকশা পুলিশ জব্দ করেছে। ফলে সকাল ৮টার দিকে পরিকল্পিতভাবে পাঁচটি ট্রাফিক বক্সে হামলা চালানো হয়। যারা সরাসরি হামলা করেছে তাদের কেউ রিকশাচালক নয়।
তিনি বলেন, পুলিশের মনোবল ভাঙার লক্ষ্যে কয়েকজন বড় ভাইয়ের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে। তাদের আরেকটি লক্ষ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা। এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃতরা বেশ কয়েকজন তাদের বড় ভাইয়ের নাম জানিয়েছেন। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। শুধু মিরপুর নয়, রাজধানীর কোথাও অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, একটি চক্র সবসময় পুলিশকে টার্গেট করে হামলার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশ ওই চক্রের সকল অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দায়িত্ব পালন করবে। বাস পোড়ানো, ট্রাফিক বক্স ভাংচুর করে কোনো লাভ হবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আইন লঙ্ঘনকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। রাজধানীর মিরপুরে গতকাল ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে পুলিশের পাঁচটি বক্সে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা। হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে শতাধিক অটোরিকশা চালকের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে মামলা করে।
এ দিকে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে সবখানে। অনেকেই এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন। তবে গ্রেফতারকৃত ৯ জনকে নিয়ে কি করা হবে তা জানা যায়নি এখনো।