রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনার সময় সেখানকার একটি সম্প্রদয়ের বাড়িতে লু’টপা’/টের ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনার পর তিনটি মা’মলা দা’য়ের হয় এবং সেই মাম’লাগুলোতে গ্রে’/প্তার এড়ানোর জন্য আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূন্য অবস্থা বিরাজ করছে। এসব এলাকায় ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঐ সব বাড়ির মহিলারা বাড়িতে অবস্থান করছেন। এই কারনে সেখানকার বাড়িগুলোর পুরুষেরা কবে তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসতে পারবে সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছেন মহিলারা। সেখানকার ১০টির মতো গ্রামে পুরুষেরা বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে চলে গেছেন।
শনিবার অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর বিকেলের দিকে করিমপুর-কসবারের নি’/র্যা’তিতদের কাছাকাছি মুসলিম পাড়ায় কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। বেশিরভাগ ঘরে রয়েছেন শুধু নারী ও তাদের স্বল্প বয়সী সন্তানেরা। সবার এক ধরনের ভ’য়ে দিন কাটাচ্ছেন।
বেশ খানিকটা পর মসজিদে দেখা মিললো এক মুসল্লির। জানালেন ঘটনার পরের দিন থেকেই মসজিদেও লোকের দেখা নেই। একই পরিবেশ রাজারামপুর, খেজমতপুরসহ কয়েকটি এলাকায়। গ্রে’প্তার আ’/ত’/ঙ্কে পুরুষশূন্য এসব পাড়া মহল্লা।
পাড়াগুলোয় বসবাসকারী অধিকাংশই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। অথচ সপ্তাহখানেক পুরুষরা ঘর ছাড়া। রোজগার নেই, তাই খেয়ে না খেয়েও থাকতে হচ্ছে কাউকে কাউকে। সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন গেলে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের কাছে এসব বিষয় তুলে ধরে স্থানীয়রা। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন নিরপরা’ধ কেউ যেন হয়’রা’নির শি’/কার না হয়।
বিপ্লব কুমার সরকার যিনি রংপুরের পু’/লি’শ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, যারা এই ঘটনায় নিরপরাধ তাদেরকে কোনোভাবে হয়’/রা’নি করা হবে না আমরা সেদিকটিতে নিশ্চয়তা দিচ্ছি। আসিব আহসান যিনি জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে আছেন তিনিও একই কথা বলেন। ঐ হামলার ঘটনার পর তিনটি মা’মলা দা/য়ের হয় যেখানে অজ্ঞাত আ’/সা’/মি করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক। বর্তমান সময় পর্যন্ত ৫৮ জনকে গ্রে’প্তা’রের খবর পাওয়া গেছে।