নওগাঁ জেলার পত্নীতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ঐ এলাকায় বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আর এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার মামলায় ১১৩ জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করার মাধ্যমে মামলা করেছে সেখানকার থানা পুলিশ। গ্রেফতার এড়িয়ে যেতে ঐ গ্রামের পুরুষেরা গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ঐ এলাকাটি এখন অনেকটা নীরব এলাকায় পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর ঐ এলাকার নারীরা অনেকটা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় পড়েছেন। এই অবস্থায় সেখানকার প্রবীন বাসিন্দারা প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ধরনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও গ্রেফতার বন্ধে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক) ফারজানা পারভীন ও তার স্বামীসহ মোট পাঁচজনকে গত বৃহস্পতিবার জেলা কারাগারে পাঠানোর পর শনিবার রাতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিজ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে ওই এলাকায় আটক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এ দিকে শুক্রবার রাতে আটক স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা পারভীনের গ্রামের বাড়ি কমলাবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে পতœীতলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ রায়হান ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মাহমুদা আক্তার বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগে। বাড়ির সামনে গাড়ি রাখার বড় গ্যারেজ ছিল, সেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি মোটরসাইকেল ছিল। এ ছাড়া বাড়ির আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। কিন্তু মামলার কারণে গ্রামে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় আমরা মহিলারা আগুন নেভানো নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ি। তারপরও অনেক চেষ্টা করে কিছুটা আগুন নেভানো গেছে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এর মধ্যে বাড়ির অনেক কিছু পুড়ে গেছে।
রায়হান ইসলাম যিনি পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে জানান, খবর পেয়ে আমরা সেখানে খুব দ্রুত সমস্ত নির্বাপন বহর নিয়ে যাই এবং এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। কিভাবে সেখানে আগুনের সুত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে সেটা তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। শামসুল আলম যিনি পত্নীতলা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। ঘটনাটির বিষয়ে তদন্ত শুরু হবে খুব শীঘ্র।