ভারতীয় কন্নড় চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় সুপারস্টার পুনীত রাজকুমার। গতকাল (শুক্রবার) অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর মাত্র ৪৬ বছর বয়সে এই তারকা অভিনেতা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এই তরুন এবং জনপ্রিয় অভিনেতার প্রয়ানের পর সেখানকার সিনেমা পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খবরটি কিছুতেই যেন মানতে পারছেন না তার যারা ভক্ত রয়েছেন। এমনকি বেঙ্গালুরুর একটি জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেলের একজল নারী সংবাদ পাঠক তার প্রয়ানের খবর জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভা’ইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, খবর পাঠের আগেই পুনিত রাজকুমারের প্রয়ানের খবর শুনে কাঁদতে শুরু করেন এই পাঠিকা। পরবর্তী সময়ে সেটে উপস্থিত অন্যরা তাকে সান্ত্বনা দেন। এরপর তিনি যখন পুনিতের প্রয়ানের খবরটি জানাতে যান, তখন আবারও কা’ন্নায় ভেঙে পড়েন।
শুক্রবার জিমে ওয়ার্কআউট করার সময় হার্ট অ্যা’টাক হয় পুনিতের। দ্রুত তাকে বেঙ্গালুরুর বিক্রম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মৃ’/ত্যুবরণ করেন।
কন্নড় সিনেমার ‘ম্যাটিনি আইডল’ রাজকুমারের ছেলে পুনিত। শি’/শুশিল্পী হিসেবে ‘বেট্টাডা হুভু’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। সিনেমাটিতে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০০২ সালে ‘আপ্পু’ সিনেমায় প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন পুনিত। তারপর অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দেন তিনি।
কন্নড় সিনেমার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অন্যতম এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো ‘অভি’, ‘ভীরা কানাড়িগা’, ‘আকাশ’, ‘অজয়’, ‘অঞ্জনি পুত্রা’ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালের দিকে পুনীত বুকে ব্যথার কথা বলেন এবং ইসিজি করার জন্য তাকে তার পারিবারিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ইসিজির করার পর তাকে দ্রুত হাসপাতালে যেতে বলা হয়। তিনি গু’রুতর অবস্থায় বিক্রম হাসপাতালে পৌঁছেন। পুনীত রাজকুমার ছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা রাজকুমার এবং পার্বথামার ছেলে। তিনি ১৯৯৯ সালে অশ্বিনী রেভান্থকে বিয়ে করেন। ভক্তরা তাকে আদর করে আপ্পু বলে ডাকতেন। তিনি শি’/শু শিল্পী হিসাবে বেত্তাদা হুভু এর মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। অভিনেতা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ শি’/শু অভিনেতা হিসাবে বেশ কয়েকটি পুরষ্কার জিতেছিলেন।