দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ দৃস্যমান। এদিকে দেখতে দেখতেই দরজায় কড়া নাড়ছে সেই শুভ দিনটি। আর বাকি ২ দিন। এরপরই বেশ ধুমধাম করে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। তবে এর আগেই পদ্মা সেতু ব্যবহাকারী বাসের ভাড়া নিয়ে এলো নতুন এক খবর।
জানা গেছে, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পদ্মা সেতু ব্যবহার করে বাসের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করেছে। গত রোববার সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে মাওয়া ফেরি টার্মিনাল পর্যন্ত ১২টি রুটের বাস ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা হয় এবং চট্টগ্রাম-খুলনা, কক্সবাজার-বরিশাল এবং চট্টগ্রাম-বরগুনা রুটের নতুন ভাড়া তালিকাভুক্ত করা হয়।
৮ জুন বিআরটিএ সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত ১৩টি রুটের ভাড়া তালিকা করেছে। বহু বছরের পুরনো একটি রুটে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন রাস্তা নির্মাণে দূরত্ব কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে দূরত্ব এবং বিদ্যমান ফেরি ও সেতু টোলের একটি আপডেট তালিকার ভিত্তিতে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের তালিকার তুলনায় ভাড়া কিছুটা কম হয়েছে।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল ঘোষণা না করায় বিআরটিএ ভাড়া নির্ধারণ করেছে। বাসে ৪০টি আসনের জন্য ভাড়া তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আসন কমলে ভাড়া বাড়বে। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভাড়া তালিকা বৈধ নয়। বাসের ভাড়া নির্ধারিত হয় মালিকপক্ষ।
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া, ভাঙ্গা, মাদারীপুর হয়ে বরিশালের দূরত্ব ১৫৬ কিলোমিটার। ৬ জুনের তালিকায় এই রুটে ভাড়া ছিল ৪১২ টাকা।
পুনঃনির্ধারিত তালিকায় তা হয়েছে ৪২১ টাকা। আগের তালিকায় পদ্মা সেতুর জন্য দুই হাজার টাকা টোলসহ এই রুটের জন্য মোট টোল ধার্য করা হয়েছে ২ হাজার ১৭২ টাকা। কিন্তু এভাবে পদ্মা সেতু ছাড়াও অন্তত চারটি স্থানে ৫৩০ টাকা টোল দিতে হয়। এটি পুনঃনির্ধারিত তালিকায় সমন্বয় করা হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এদিন জনসাধারণের জন্য পদ্মাসেতু খুলে দেয়া হবে না। উদ্বোধনের একদিন পর সকাল ৮ থেকে পদ্মাসেতু খোলা হবে।