পাবিবারিক কলহ ও সম্পতির লোভে মানুষ অনেক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে থাকে। সম্প্রতি ডুমুরিয়ায় সম্পতি নিয়ে বিবদে চাচা ভাতিজির সাথে করা এক অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের কথা সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ওই আবদুস সাত্তার হালদার ( Abdus Sattar Haldar ) নামে এক ব্যক্তির কোন পুত্র সন্তান না থাকায় সব সময় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হন তিনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডুমুরিয়া ( Dumuria ) উপজেলার ৫নং আটালিয়া ইউনিয়নের চাকুন্দিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে রজনী আক্তারকে বেদম ভাবে প্রহার করেছে প্রতিপক্ষরা।
গত রোববার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে রাজিনা আক্তারের ( Rajina Akhtar ) মা শাহিদা বেগম ( Shahida Begum ) বাদী হয়ে ডুমুরিয়া ( Dumuria ) থানায় মামলা করেন। এর আগে ১৯ মার্চ ( March ) একই ধরনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, স্থানীয় চাকুন্দিয়া গ্রামের মোঃ সোহরা হোসেন হালদারের ছেলে আমিনুর রহমান হালদার, সোহরাব হোসেন হালদার ও মৃত আফতাব হালদারের ছেলে আব্দুস সালাম হালদার। বিবৃতিতে বলা হয়, মৃত আফতাফ হালদারের ছেলে সোহরাব হালদার (৫৬) ও আবু সালাম হালদার (৫৫), সোহরাবের ছেলে আমিনুর হালদার (২৮), সোহরাবের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৪৮) ও রুহেনা বেগম (৪৩)। রোববার সকালে আবু সাঈদের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামি লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার শুরু করে এবং তার বড় মেয়ে রজনী আক্তারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
রজনী আক্তার তাকে কথা বলতে নিষেধ করলে তারা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে র//ক্তাক্ত করে। বড় বোনকে বাঁচাতে গেলে লাবনী আক্তারকেও প্রহার করে তারা। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এসে তাদের বেহাল অবস্থায় দেখে তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার হালদার ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম জানান, তাদের কোনো ছেলে না থাকায় তাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
আমাদের বাড়ির উঠোনে গবাদি পশুর খামারের পানি নিষ্কাশনের পথ, আমার বাড়িতে পানি আটকানো, আমার বাড়ির গাছ কেটে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনে আমরা অসহিষ্ণু। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ-প্রশাসনে বারবার গিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না অসহায় পরিবারটি। এদিকে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পরপরই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছন এলাকাবাসী। নাম গোপন রেখে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি এই ঘটনা সম্পর্কে সংবাদকর্মীকে বলেন, জোর করে আবদুস সাত্তার হালদারের জমি দখল করতে চায় তার ভাই। এই নিয়ে অনেক বার সামাজীক বৈঠকও হয়েছে। প্রতিবারই আবদুস সাত্তার হালদারে পক্ষে সবাই কথা বলেছে। তবে তার ভাইয়ের দাবি আবদুস সাত্তার হালদারের কোন পুত্র সন্তান নেই সে এত জমি দিয়ে কি করবে। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় কলহ লেগেই থাকে।