পরিবারের অন্তরালে দীর্ঘদিন ধরেই পুত্রবধূ জাকিয়া ইসলাম মুন্নির ( Zakia Islam Munni ) সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন শ্বশুর নাজমুল ইসলাম শ্যামল। তবে প্রাথমিকভাবে কেউ বিষয়টি বুঝতে না পারলেও, পরবর্তীতে পুত্রবধূকে নিয়ে শ্বশুরের পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
কুতুবপুর ইউনিয়নের আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শ্যামলের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার ( Rabia Akhter ) ও শ্যামলের সৎ ছেলে রফিকুল ইসলাম ইমন ( Rafiqul Islam Emon ) তাদের হদিস চেয়ে ফতুল্লা ( Fatullah ) মডেল থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ইমনের অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম ইমন ( Rafiqul Islam Emon ) পাঁচ বছর আগে জাকির ইসলাম মুন্নির সঙ্গে ইসলামী ( Islamic ) আইন অনুযায়ী বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু শ্যামল মুন্নির ( Shyamal Munni ) প্রেমে ( May ) পড়ে যায়। একপর্যায়ে ১০ মে ( May ) দুই লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় দুজনে। ঘটনাটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে ফতুল্লা ( Fatullah ) মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এদিকে শ্যামলের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার জানায়, নয় বছর আগে ইসলামী আইন অনুযায়ী নাজমুল ইসলাম শ্যামলের সঙ্গে রাবিয়ার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ছয় বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। কিছুদিন ধরে স্ত্রী-সন্তানকে ভরণ-পোষণ না দিয়ে নানা অজুহাত দেখাতে থাকে শ্যামল। এমনকি তিনি তার সঙ্গে সংসার করবেন না বলেও জানান। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১০ মে আমার সৎ পুত্রবধূ জাকিয়া ইসলাম মুন্নির ঘরের নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মোট ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। রাবেয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সুরাহা পাননি। “যদি কেউ খুঁজে বের করতে পারে তবে তাদের সেই অনুযায়ী পুরস্কৃত করা হবে,” তিনি বলেছিলেন।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই নজরুল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে অবগত হয়েছেন তিনি। আর সেই আলোকে অভিযুক্ত ঐ শ্বশুর-পুত্রবধূকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।