আজ দুপুর ১২টার দিকে মাওয়া প্রান্তে মূল ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনিও সেখানে নামাজে শরিক হন। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে যাত্রা শুরু করেন। জাজিরা যাওয়ার পথে দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী গাড়ি থামিয়ে নেমে যান। পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর মহড়া দেখেছেন।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর সার্কিট হাউসের পুকুরে বানানো হয়েছে একটি রেপ্লিকা সেতু। পদ্মা সেতুর আদলে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। আর এটি দেখতে ইতিমধ্যে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার (২৫ জুন) সকালে পুকুরে নির্মিত এই সেতুতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভার যৌথ এই অয়োজনে হাজারও মানুষ অংশ নেবেন বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের। এই সেতু নির্মাণের দায়িত্বে থাকা গোবিন্দ ঘোষাল বলেন, এই সেতু নির্মাণ করতে ২৪ জন মানুষের ছয় দিন লেগেছে। আজকে কাজ শেষ করে জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ১৯টি স্প্যানের ওপরে নির্মাণ করা এই সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ফুট । সেতুতে পানির ছয় ফুট উপরে রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। উপরে দুই পাসে ২০টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। সেতুটি আলোকিত ও দৃষ্টিনন্দন করতে লাইটিং ও বিভিন্ন রঙ লাগনো হয়েছে। নির্মাণে ৪৮৫টি বাঁশ, ৫০০ ঘনফুট কাঠ এবং ১৫০টি প্লাইউড ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধের পর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর আগে তিনিও সেখানে নামাজে শরিক হন। উদ্বোধনের পরে তিনি মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্ট পর্যন্ত যাত্রা শুরু করবেন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত দলের জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে জাজিরা পয়েন্ট ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।