বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পাঠায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন যে মারিয়া জাখারোভা ইচ্ছাকৃতভাবে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি এবং পিটার হাসের সাথে বিভিন্ন বৈঠককে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। কোনো বিশেষ দলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সমর্থন নেই।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তা-ই চাই এবং সেটি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের এবং বাংলাদেশের জনগণ উভয়ের লক্ষ্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে।
এর আগে ২২ নভেম্বর, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন যে রাশিয়া বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশ সরকারের বিদেশী সহায়তা ছাড়াই “বৈধ নির্বাচন” করার ক্ষমতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে, যা ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আড়ালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রচেষ্টা আমরা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি। আমাদের কোন সন্দেহ নেই যে, বিদেশী শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য ছাড়াই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচন স্বাধীনভাবে আয়োজন করার ক্ষমতা বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের আছে।
মারিয়া জাখারোভার মতে, অক্টোবরের শেষের দিকে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকার বিরোধী বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলের একজন সদস্যের সাথে দেখা করেন।
তিনি ভিয়েনা কনভেনশন না মেনে পিটার হাসের পদক্ষেপকে একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চরম হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাসের ফেসবুকে মারিয়া জাখারোভার বিবৃতিটি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়।