ঢাকায় সম্প্রতি নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়।
সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার একথা জানান।
তিনি বলেন, ভিসা নীতি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের ওপর নয়, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ওয়াশিংটন প্রতিনিধি। মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সে সময় পিটার হাসের কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, যারা ভিসা নীতিমালার আওতায় এসেছে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই তালিকায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা।
মিলার আরও বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এই ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেওয়ার জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়নি। বরং এটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার একটি পদক্ষেপ।
ভিসা নীতিমালা ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে দলের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী। তবে মিলার সে প্রশ্নের উত্তর দেননি।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কথা বলে গত মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এই ভিসা নীতির আবেদন শুরু হয়েছে। তবে, হোয়াইট হাউস এখনও এই নীতির আওতায় থাকা ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেনি।
সূত্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর