ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন প্রেস সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্নকর্তা বলেন, মস্কো সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে জোরালোভাবে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কারণ, তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের জনগণের সহিংস বক্তব্যের সম্মুখীন হচ্ছেন। রুশ অভিযোগ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি (জন কারবি) বক্তব্য কী??
জবাবে, জন কারবি বলেছিলেন যে তিনি যখন মার্কিন নৌবাহিনীতে ছিলেন, এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা দুই সিলেবলের একটি শব্দ বলতেন। তবে তিনি এখন সেটা বলছেন না। তিনি শুধু বলবেন, এটা (অভিযোগ) পুরোপুরি মিথ্যা। রাশিয়ানরা জানে, এটা মিথ্যা। এটা নিখাদ রাশিয়ান প্রচারণা। তারা জানে, এটা মিথ্যা।
জন কিরবি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যা চায়, তারাও তাই চায়। আর তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং তার দল এই লক্ষ্যে কাজ করছিল। তারা একইভাবে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, বিরোধী দল, সরকারসহ বাংলাদেশী সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে কাজ করবে। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানানোর জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম করবে। বাংলাদেশে তারা এটা করছে।
অপর এক প্রশ্নে একই ব্যক্তি বলেন, ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে ভারত, চীন ও রাশিয়া জোট গঠন করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলোকে দমন-পীড়ন চলছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কি তার আগের অবস্থান থেকে পিছু হটছে? কারণ, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
জবাবে জন কার্বি বলেন, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী। এ লক্ষ্যে তারা কাজ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশী নির্বাচনে পক্ষ নেয় না। বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। তারা এই সহায়তা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের জনগণের এই মৌলিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং তার দল যা যা করা দরকার তা করবে।