গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) পারিবারিকভাবে পদ্মা চরে পিকনিকে গিয়ে পানিতে ডুবে স্ত্রী মাঞ্জুরী তানভিরের ‘মৃ’ত্যু’র’ পাশাপাশি রীতিমতো নি’খোঁ’জ হন স্বামী ও ব্যাংক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন কাদের। অনেক চেষ্টা করেও তার কোনো হদিস না পেয়ে শেষ’মে’ষ বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের অবগত করা হলে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূর থেকে তার ‘ম’র’দে’হ’ উ’দ্ধা’র করে ফায়ার সার্ভিস।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের লিডার আবদুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উদ্ধারের পর সালাহ’উদ্দিন কাদে’রের ‘ম’র’দেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের নেতৃত্বে হাজারী (একসাথে অনেকগুলো বর্শা নিক্ষেপ) ব’র্শা ব্যব’হার করে পদ্মা নদী থেকে তার ‘ম’র’দে’হ’ টেনে আনা হয়।
এর আগে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বালিগ্রাম এলাকার পদ্মার চরে পারিবারিক পিকনিকে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী ম’ঞ্জুরী তানভীরের ‘মৃ’ত্যু’ হয়। একই সঙ্গে নিখোঁজ হন তানভীরের স্বামী সালাহউদ্দিন কাদের। দুর্ঘটনার একদিন পর ব্যাংক কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন কাদেরের ‘লা’শ’ উদ্ধা’র করা হয়। নিহত স্বামী-স্ত্রী গোদাগাড়ী পৌরসভার সিমন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। একই পরিবারের দুই সদস্যের ‘মৃ’ত্যু”তে এলাকায় শো’কে’র ছায়া নেমে এসেছে।
গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নবীর উদ্দিন জানান, ঘটনার পর রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালায়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় অন্ধকার নেমে আসায় অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ শনিবার সকালে আবারও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার ‘লা’শ’ উ’দ্ধা’র করা হয়। পরে তা পুলিশের কাছে হস্তান্ত’র করা হয়।
এ ঘটনায় গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগোযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিষয়টি অবগত হওয়া পর তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার ‘মৃ’ত’দে’হ’ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ‘লা’শ’ স্বজনদের কাছে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।