Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পায়ে ধরে নির্বাচনে আনেন, সংবিধানে কোথাও বলা আছে, তাহলে আমরা কেন আনবো : ইসি মো. আলমগীর

পায়ে ধরে নির্বাচনে আনেন, সংবিধানে কোথাও বলা আছে, তাহলে আমরা কেন আনবো : ইসি মো. আলমগীর

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে` রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন থেকে শুরু করে কোনো সংলাপেই অংশগ্রহন করেনি। বিএনপি দাবি নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া। পায়ে ধরে কাউকে নির্বাচনে আনবে না ইসি বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর যা বললেন।

বিএনপির নির্বাচনে না আসার ঘোষণা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, কাউকে লোভ দেখিযে, সন্তুষ্ট করে, অনুরোধ করে, পায়ে ধরে নির্বাচনে আনবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বাইরে বিভিন্ন দাবি তুললেও তা আমলে নেওয়া হবে না, বিএনপিকে ইসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।

রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মো: আলমগীর বলেন, যারা বলে আমরা নির্বাচন করব না, নির্বাচনে আসব না, নির্বাচনে যাব না; তারা কী বলছেন না বলছেন তা আলোচ্যসূচিতে রাখার সুযোগ নেই। যারা আলোচনায় এসেছেন তাদের আলোচ্যসূচিতে রাখতে হবে। কাজেই তারা বাইরে কী বলছেন, তার ভিত্তিতে কি আলোচনা করার সুযোগ আছে!

তিনি বলেন, আমরা কমিশন হিসেবে মনে করি, যত নিবন্ধিত দল আছে, আমরা চাইবো সবাই আসুক, আমরা খুশি হব। সবাই যদি আসে ‘দ্যাট উইল বি ভেরি গ্রেটফুল’। এটি একটি খুব ভাল কাজ হবে। কিন্তু এখন কেউ যদি বলে, আমরা নির্বাচনে যাব না, তাহলে নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা আমাদের দেওয়া হয়নি। এখন যারা নির্বাচনে আসবে, তাদের কথা ভাবার দায়িত্ব কমিশনের। তাদের কথাকে গুরুত্ব দিতে হবে। কেউ যদি বলেন, আমি নির্বাচনে যাবো না, তিনি কী চাচ্ছেন নির্বাচনে, সেটা তো গুরুত্বে আনার সুযোগ নেই।

বিএনপি যদি বলে নির্বাচনে যাবে, ইভিএম চায় না; তখন কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাহলে অবশ্যই আমলে নেব। কারণ তখন তারা এসে বলবে আমরা নির্বাচনে যাব, এটা আমরা চাই। তারপর আমরা এটা নেব। কারণ তারা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। আমলে না নেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু সংলাপে আসে নাই, আলোচনায় আসে নাই।কাজেই ওনাদের কথা তো রেজ্যুলুশনভুক্ত করে আলোচনা করতে পারি না।

এক মাস বা দুই মাস আগে এসে ইভিএম না চাইলে কী হবে? আলমগীর বলেন, তারপর আলোচনা করব, পরীক্ষা করব, তখন অবশ্যই একটা সিদ্ধান্তে আসবো। কেন আসবো না?

ইভিএম থেকে তখন সরে যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, সরে যাওয়ার তো বিষয় না। তখন আসন হয়তো কম-বেশি হতে পারে। ওনারা যদি বলেন, এত কইরেন, তখন আমরা যদি কনভিন্সড হই, যে কথায় যুক্তি আছে তাহলে সেটাই হবে। আর যদি দেখি যে যুক্তিযুক্ত না, তখন বলবো আপনাদের যুক্তিটা তো গ্রহণযোগ্য হলো না। আপনারা এভাবে বললে হবে না, বিষয়টা তো লজিক্যাল হতে হবে।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, বিএনপিকে অবশ্যই আলোচনায় আসতে হবে। কারণ যারা আলোচনায় আসেননি, কথা বলেননি, তাদের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই। যারা নির্বাচনে আসবে তাদের কথা ভাবতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধান আমাদের নির্বাচন করার ক্ষমতা দিয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে। যারা নির্বাচনে আসবেন না, তাদের তাদের লোভ দেখিয়ে, সন্তুষ্ট করে, অনুরোধ করে, পায়ে ধরে নির্বাচনে আনেন; সংবিধানে কোথাও বলা আছে? তাহলে আমরা কেন আনব? যদি থাকত, আমি করতাম।আমাদের দরজা তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত খোলা থাকবে। আমাদের দরজা দাওয়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, আমাদের দরজা তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে কাউকে জোর নিয়ে আসার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের না বলে মন্তব্য করে (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, সব নিয়ম-নীতি মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *