জোনায়েদ মোল্লা নামের এক শিশু পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠেছিল। বিমানটি উড্ডয়নের আগেই জানা গেল শিশুটি ফ্লাইটের যাত্রী নয়। এমনকি তার পাসপোর্ট বা বোর্ডিং পাসও নেই।
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
বিমানবন্দরে এমন ভুতুড়ে ঘটনায় কেবিন ক্রু ও যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে শিশুটিকে ফ্লাইট থেকে নামানো হয়। তবে পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়া একজন শিশু কীভাবে বিমানে উঠল- তা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে এমন ঘটনার জেরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (কেইউ -২৮৪ ) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়েত যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একটি ৮ -৯ বছরের ছেলে প্লেনের ভিতরে হাঁটছিল। কেবিন ক্রু শিশুটিকে সিটে বসার পরামর্শ দেন। তারপর শিশুটি একটি আসনে বসল।
একপর্যায়ে শিশুটির পাশের সিটে থাকা যাত্রী শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে বসতে বলেন। কিন্তু শিশুটি তার বাবা-মা সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি। এ সময় পাশের সিটে থাকা যাত্রী বিষয়টি কেবিন ক্রুর নজরে আনলে কেবিন ক্রুরা তাকে তার বাবা-মায়ের কথা জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু শিশুটি উত্তর দিতে পারেনি। এরপর কেবিন ক্রু যাত্রী সংখ্যা গণনা করে আরও একজন যাত্রীকে খুঁজে পান। পরে বিমানের দরজা খুলে শিশুটিকে বিমানবন্দর এভিয়েশন সিকিউরিটি -এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, বিমানবন্দরে কর্মরত প্রত্যেক কর্মচারী ডিউটি পাস ব্যবহার করেন। বাকি যাত্রীরা তাদের পাসপোর্ট এবং বোর্ডিং পাস নিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া বিমানবন্দরে প্রবেশের পর ইমিগ্রেশনসহ প্রায় ৮-১০টি ধাপ অতিক্রম করে প্লেনে উঠতে হয়। শিশুকে কোনো পর্যায়ে আটকে না রাখা নিরাপত্তাহীনতার লক্ষণ।
বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিয়া বলেন, শিশুটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তার বাবা-মা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করার পর শিশুটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।